ঢাকার ধামরাইয়ে একটি ভয়াবহ ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী, যিনি গভীর রাতে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় জনতার হাতে আটক হন। এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং সামাজিক মান-সম্মানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই গৃহবধূর স্বামী কুয়েতে শ্রমিকের কাজ করেন এবং পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য সেখানে রয়েছেন। কিন্তু স্বামী যেখানেই থাকুন, স্ত্রীর হৃদয়ে যে অন্য একজনের জায়গা হয়েছে, তা জানার পর বিষয়টি অমানবিক রূপ নিয়েছে। রাতের অন্ধকারে প্রেমিক বিপ্লব হোসেন, যিনি স্থানীয় একজন দিনমজুর, গোপনে ওই গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে মিলিত হন। প্রতিবেশীদের চোখে ধরা পড়লে ঘটনাস্থলে শোরগোল শুরু হয় এবং তারা প্রেমিক যুগলকে আটক করেন।
আটকের পর, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা মো. জয়নাল হোসেন এবং অন্যান্যরা বিপ্লবকে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেন। খবর পাওয়া গেছে, এই সময়ে প্রেমিক যুবকের কাছে ৫ লাখ টাকার ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। যদিও জয়নাল হোসেন স্বাক্ষরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন, তবে প্রেমিককে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।
জয়নাল বলেন, "মানবিক কারণে এবং সামাজিক মর্যাদার দিকে নজর রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।" তিনি জানান, ওই গৃহবধূকে তার পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে ঘটনার ফলস্বরূপ পরিবারে আরও সমস্যা সৃষ্টি না হয়।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই ঘটনা সামাজিক ও নৈতিকতার প্রশ্ন তুলেছে। অনেকেই বলছেন, পরকীয়া সম্পর্ক গড়ার কারণে যে ধরনের ঘটনা ঘটছে, তা আমাদের সমাজে অনৈতিকতার প্রতিনিধিত্ব করছে। স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে যে, এই ধরনের ঘটনা কিভাবে পরিবার এবং সমাজকে প্রভাবিত করছে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, স্থানীয় সমাজ ও পরিবারগুলোকে আরো সচেতন হতে হবে এবং সামাজিক মূল্যবোধের দিকে নজর দিতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।