গত সপ্তাহে দেশের শেয়ার বাজারে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার দিনই মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে শেয়ার বাজারে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়। এর মধ্যে চার দিন দরপতন হওয়ায় বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্সসহ বাকি দুটি সূচকও কমেছে। ফলে সবকটি সূচকের পতনের প্রভাবে কমেছে ডিএসইর পিই রেশিও। এর মাধ্যমে টানা তিন সপ্তাহ ডিএসইর পিই রেশিও বা মূল্য আয় অনুপাত কমলো।
গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৫ দশমিক ৯২ পয়েন্টে। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ১৪ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে নেমে আসে। অর্থাৎ ডিএসইর পিই রেশিও আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ১ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে বা ৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। খাত ভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতে। সপ্তাহ শেষে এই খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৮ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে। এর পরেই রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১২ দশমিক ১৬ পয়েন্টে।
এছাড়া বীমা খাতের পিই রেশিও ১২ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১৫ দশমিক ২২ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতে ১৫ দশমিক ৫২ পয়েন্টে, চামড়া খাতে ১৬ দশমিক ২০ পয়েন্টে, সিরামিক খাতে ১৭ দশমিক ২৮ পয়েন্টে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১৭ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৯ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৯ দশমিক ২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাকি খাতগুলোর ইপি ২০-এর উপরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আর্থিক খাত ২০ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে, খাদ্য খাত ২২ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্টে, বিবিধ খাত ২৫ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে, পেপার খাত ২৮ দশমিক ৮২ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাত ৩২ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে এবং পাট খাত ৬০০ দশমিক ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।