মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত ইসলামী থেকে বহিষ্কৃত সাবেক শূরা সদস্য মজিবুর রহমান মঞ্জু নতুন রাজনৈতিক দল গড়ছেন। এতে যোগ দিচ্ছেন কোটা আন্দোলনকারীদের সংগঠন সাধারণ ছাত্র পরিষদের শীর্ষ তিন যুগ্ম আহ্বায়ক। মঞ্জুর অনুসারী ঢাকা মহানগর জামায়াতের একাধিক নেতা এমনটা নিশ্চিত করেছেন। একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চাওয়া ও দলীয় সংস্কারের দাবি পূরণ না হওয়া নিয়ে শুক্রবার জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করেন দলটির প্রভাবশালী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। পরে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য মজিবুর রহমান মঞ্জুকেও বহিষ্কার করা হলে নতুন দল গড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তিনি। সংস্কারপন্থী জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংস্কার ইস্যুতে জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের আরও শতাধিক নেতা পদত্যাগ করবেন যে কোনো সময়। ছাত্রশিবিরের একাংশও আসবেন নতুন দলে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্য কার্যক্রম চালাতে কোটা আন্দোলনকারীদের একাংশকে সাথে নেবেন তারা। নতুন দলের ছাত্র সংগঠনের বিষয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে ছাত্রশিবিরের সাবেক দুই নেতাকেও দায়িত্ব হয়েছে। এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে কোটা আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত দুই যুগ্ন আহ্বায়কের। আরও তিন জনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
কোটা আন্দোলনের ওই নেতারা ডাকসু নির্বাচনের পরেই নিজেদের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করতে পারেন বলে শিবিরের ওই দুই নেতাকে নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রশিবিরের সম্পাদকমণ্ডলীর দায়িত্ব পালন করা সাবেক এক নেতা জানান, ব্যারিস্টার রাজ্জাক ও মঞ্জুর অনুসারী এমন কোটা আন্দোলন গড়তে যেসব শিবির নেতা ভূমিকা রেখেছেন, পরিচিতি পেয়েছেন, তাদেরও নেয়া হচ্ছে নতুন দলে। একটি বাম ঘরানার অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে বলেও জানান ওই শিবির নেতা। এবিষয়ে নতুন দলের উদ্যোক্তা ও সাবেক শিবির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নতুন দলের আলোচনার বিষয়টি স্বীকার করতে চাননি। তবে তিনি জানান, স্বাধীনতাবিরোধীর অপবাদ মাথায় নিয়ে জামায়াতে থাকবে না তরুণ প্রজন্ম। সব ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে নতুন দল গড়া হবে। সেক্ষেত্রে ডান বা বামপন্থীরাও আসতে পারেন। আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এখনও দলের নাম চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রয়োজনে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। তাদের যেহেতু কোনো রাজনৈতিক দল নেই। তারা আমাদের সঙ্গে চাইলে যোগ দিতে পারে। এটা তো দোষের কিছু না। যে কেউ যে কোনো রাজনৈতিক দলের অনুসারি হতে পারে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।