বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর: সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: শনিবার ৮ই মার্চ ২০২৫ ০৭:০৯ অপরাহ্ন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর: সড়ক অবরোধ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) তিন শিক্ষার্থী শনিবার (৮ই মার্চ) বাস ও সিএনজি মালিক সমিতির মধ্যে যাত্রী উঠানো নিয়ে বিরোধের সময় মারধরের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং রমজান মাসে দুপুরে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। মারধরের শিকার তিন শিক্ষার্থী বর্তমানে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।


প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ভোলারোডে সিএনজি ও বাস মালিক সমিতির সদস্যদের মধ্যে যাত্রী ওঠানো নিয়ে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করলে, বাস মালিক সমিতির সদস্যরা তাদেরকে বাশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করে। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের তানজিল আজাদ এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের রবিউল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম।


ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সকাল ১১টার দিকে পরিবহন শ্রমিক সমিতি এবং সিএনজি সমিতির মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করলে, বাস মালিক সমিতির শ্রমিকরা তাদের ওপর হামলা চালায়।


এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন। সড়ক অবরোধের ফলে ওই সময় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বন্দর থানার ওসি রফকুল ইসলাম।


বরিশাল জেলা বাসমালিক গ্রুপের আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন সিকদার দাবি করেছেন, বাস মালিক সমিতির সদস্যদের ওপর মাহিন্দ্র শ্রমিকরা হামলা করেছেন এবং তারা নিরাপদে চলাচল করতে না পারলে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি জানিয়েছেন, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধের পর যাত্রীদের ভোগান্তি দেখে অবরোধ তুলে নিয়েছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।