বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ৩৬ জন ফুটবলারকে চুক্তির আওতায় এনেছে, যদিও সাবিনা-কৃষ্ণাদের মতো শীর্ষ খেলোয়াড়রা এখনো চুক্তিবদ্ধ হননি। তাদের অনুশীলন বর্জনের কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, যা ইংলিশ কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে বিবাদের ফলস্বরূপ।
জানা গেছে, এ সপ্তাহে যে ৩৬ জন ফুটবলার চুক্তি করেছেন, তাদের বেশিরভাগই জুনিয়র ফুটবলার। তবে, সাবিনা, সানজিদা এবং অন্যরা এখনো চুক্তি পাননি, কিন্তু তাদের চুক্তি করার সম্ভাবনা এখনও উড়ে যায়নি। শোনা যাচ্ছে, তাদের চুক্তিপত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তবে, সাবিনা-সানজিদারা কোচ বাটলারের সঙ্গে তাদের সমস্যা সমাধান না করলে চুক্তির আওতায় আসা সম্ভব নয়। বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, তারা কোচ বাটলারের অধীনে অনুশীলনে ফিরলেই তাদের সঙ্গে চুক্তি হবে।
এদিকে, ১৮ জন ফুটবলার এখনো তাদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন এবং অনুশীলনে ফিরে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল।
বাফুফে যদিও চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারদের সঙ্গে ঘোষণা দেয়, তবে সময়মতো পারিশ্রমিক প্রদান করতে পারেনি। এর ফলে আগের বাফুফে প্রশাসনকে প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।
এবার বাফুফে সাবিনা-কৃষ্ণাদের মত প্রধান খেলোয়াড়দের ছাড়াই ৩৬ জন ফুটবলারকে চুক্তির আওতায় এনেছে। যদি সাবিনা, সানজিদা, কৃষ্ণারা ফেরেন, তাহলে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে এবং অর্ধশতক ছাড়িয়ে যাবে।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, বাফুফে কি এতগুলো ফুটবলারের পারিশ্রমিক দেওয়ার সক্ষমতা রাখে? এই সংখ্যা অনেক বাড়ানোর ফলে বাফুফে কর্তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
বাফুফে কর্তারা এখনও এই বিষয়ে কোনো স্পষ্ট বিবৃতি দেননি। তবে, তাদের সামনে বড় একটি আর্থিক দায়িত্ব থাকায় সংশ্লিষ্টরা তাদের সক্ষমতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন।
বাফুফে যদি সাবিনা-সানজিদাদের মত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তি করতে না পারে, তবে এটি জাতীয় দলের শক্তি ও সম্ভাবনাকে দুর্বল করে দিতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।