রাঙ্গাবালীতে ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তরমুজ চাষীদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
এম সোহেল, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার ২৬শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:০৭ অপরাহ্ন
রাঙ্গাবালীতে ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তরমুজ চাষীদের মানববন্ধন

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা (সহকারি তহশিলদার) জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাষীদের তরমুজ পরিবহণে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) গহিনখালী গ্রামের তরমুজ চাষীরা অভিযোগ করেন, তারা চলতি মৌসুমে স্থানীয় বিআইডব্লিউটিএ অনুমোদিত একটি ঘাট দিয়ে তরমুজ বাজারজাত করছিলেন। কিন্তু ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম সেখানে গিয়ে তাদের তরমুজ পরিবহণে বাধা দেন। তাছাড়া, তার নিয়ন্ত্রণাধীন খাস কালেকশনের হাসিল আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং চাষীদের মেনে না চললে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে হুমকি দেন।


এ ছাড়া, চাষীদের অভিযোগ, জাহিদুল ইসলাম তাদের সুবিধামত ঘাট থেকে তরমুজ পরিবহণ করতে হলে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। স্থানীয় তরমুজ চাষী বশির উদ্দিন বলেন, "আমরা বিআইডব্লিউটিএর অনুমতি নিয়ে এই ঘাট স্থাপন করি, কিন্তু তহশিলদার এসে বাধা দিয়েছেন এবং টাকা চাওয়ার পাশাপাশি মামলার ভয় দেখিয়েছেন।" এমনকি, অন্য অনেক চাষীও এ ঘটনাকে অন্যায় ও অত্যাচার বলে মন্তব্য করেছেন।


এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে তরমুজ চাষীরা মঙ্গলবার বিকেলে গহিনখালী লঞ্চঘাট সংলগ্ন অস্থায়ী ঘাটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যেখানে চাষীদের সুবিধা হয়, সেখানে তরমুজ পরিবহণ করা চাষীদের অধিকার, কিন্তু তহশিলদার এভাবে চাঁদা দাবি করে তাদের অধিকার হরণ করছে।”


অপরদিকে, অভিযুক্ত ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, “গহিনখালী একটি বিআইডব্লিউটিএর ঘাট এবং উপজেলা প্রশাসনের আরেকটি ঘাট আছে। সেখানে নতুন করে একটি ঘাট তৈরি করা হয়েছে, যেটি সঠিক নয়। আমি সেখানে গিয়ে বলেছি, নতুন করে ঘাট তৈরি করা যাবে না। চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।”


এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হাসান বলেন, “এ বিষয়ের সঙ্গে আমি অবগত নই, তবে যদি কোনও কৃষক লিখিত অভিযোগ দেন, তাহলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


এ ঘটনায় তরমুজ চাষীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, কারণ তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য এ ধরনের অব্যাহতি অতি প্রয়োজনীয় ছিল। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।