প্রকাশ: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৫৭
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক গ্রামে পুলিশের অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। এই অভিযানটি শনিবার রাত্রীতে পরিচালিত হয়। গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীরা হলেন মো. সেলিম, আব্দুর রহিম (প্রকাশ রিপন), সোহাগ মিজি ও আজিজুল। পুলিশ জানায়, তারা ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া সোহাগ মিজি, বড়পিলাক ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে পরিচিত। পুলিশের অভিযানে তার সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই গ্রেপ্তার অভিযানটি গুইমারা থানার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে রবিবার।
এদিকে, পুলিশি অভিযানের পর এলাকায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ পুলিশের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন, তবে অন্যদিকে কিছু স্থানীয় বাসিন্দা এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য খুঁজে পাচ্ছেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের স্থানীয় রাজনৈতিক কার্যক্রমে তাদের উপস্থিতি ছিল যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। তাদের মধ্যে সোহাগ মিজি ছিলেন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে, যা তার গ্রেপ্তারের পর আলোচিত হয়েছে।
এ ঘটনার পর গুইমারা থানা এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। পুলিশের দাবি, তাদের এই অভিযান অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল যাতে এলাকার শান্তি বজায় থাকে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আরো তদন্ত চলবে এবং আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা হবে। অপরদিকে, গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের সমর্থকরা তাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে নানা বক্তব্য রেখেছেন।
অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য এসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল, এবং তাদের গ্রেপ্তারের পর স্থানীয় জনগণ পুলিশের এই পদক্ষেপকে একদিকে স্বাগত জানালেও অন্যদিকে তাদের বিরুদ্ধে আরো তথ্য সংগ্রহের দাবি জানান।
এই ঘটনার পর গুইমারা এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে পুলিশ বলেছে, তারা সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং জননিরাপত্তার দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।