ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য তারিকুল ইসলাম তারেক তার চাকরির কর্মস্থলের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) চাঁদপুরে কর্মস্থলে বসে তিনি তার ফেসবুক লাইভে এসে নিজের জীবনের সংকটময় পরিস্থিতি তুলে ধরে বিষপান করেন। তার ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, “আমি ক্ষমার যোগ্য না। আমাকে সবাই মাফ করে দিবেন, জীবনে সুখী হতে পারলাম না।” এরপরই লাইভে এসে বিষপান করেন।
তারিকুল রাজাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড় কৈবর্তখালী এলাকার মৃত মজলুম সিকদারের ছোট ছেলে। তার আত্মহত্যার চেষ্টা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন। তারিকুলের চাকুরির কর্মস্থল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক এবং সুপারভাইজারের উপর অভিযোগ উঠেছে যে, তারা তার কাছ থেকে ব্যক্তিগত কাজ করিয়ে মানসিক নির্যাতন করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তারিকুলকে ফিল্ড অফিসার হিসেবে যোগদান করার পর তার কাজের পরিধি বাড়িয়ে তার উপর নানা কাজ চাপানো হয়। তাকে সুপারভাইজার এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজারদের ব্যক্তিগত কাজে নিয়োজিত করা হয়, এমনকি তার পরিবারকেও গালমন্দ করা হতো।
এদিকে, তারিকুলের চাকুরির অভিযোগ পত্রে জানা যায় যে, তার বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের ঘটনায় তাকে সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়, তারিকুলকে ক্ষুব্ধ করে পিতামাতার মৃত্যু সম্পর্কিত গালমন্দ করা হয়েছে, যার ফলস্বরূপ তিনি হতাশ হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় তার পরিবার এবং আত্মীয়রা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যতার পাশাপাশি তারিকুল একজন তরুণ কর্মী ছিলেন। তার এ অবস্থা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা চলছে। তারিকুলের আত্মহত্যার চেষ্টা নিয়ে পরিবার এবং সহকর্মীরা অনেকে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং কর্মস্থলের ব্যবস্থাপনা এবং সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।