কুয়াকাটায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. হাবিবুর রহমানের বসতবাড়ি ভাংচুর, জমি দখল এবং চাঁদা দাবির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি নিজেই। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের কার্য্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট থেকে স্থানীয় শাহজাহান বিশ্বাস, নূর নবী গাজী এবং হাবিব মৃধা গংরা তার পরিবারকে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তাদের দুই একর জমি দখল করা হয় এবং বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। হামলাকারীরা তার বাবা গাজী মোঃ ইউসুফ আলীকে মারধর করে পা ভেঙে ফেললে তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ৩ লাখ টাকা এবং স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ লুট করা হয়।
হাবিবুর রহমান আরও জানান, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে তাদের ভোগদখলীয় জমি এখন দখলকারীদের দাবি। সন্ত্রাসীরা সেখানেই সবজির বাগান করেছে এবং এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করলে তারা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। অভিযোগ ওঠে, দখলকারীরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভ্রান্ত করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে।
তিনি বলেন, “আমার বাবা গাজী মোঃ ইউসুফ আলী ৬.৬২ একর জমির মালিক, যা দীর্ঘ ৩ দশক ধরে তারা চাষাবাদ ও ভোগদখলে ছিল। ৫ আগস্ট থেকে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সেই জমি দখল করতে শুরু করে। বর্তমানে ৮০২ নম্বর খতিয়ানে থাকা ১.৯০ একর জমি তারা দখল করে সেখানে বসতবাড়ি তৈরি করেছে।”
এই ঘটনার পর, হাবিবুর রহমান কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ১৪৪, ৪৫ ধারায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, অভিযুক্ত নূর নবী বলেন, "এটা purely রাজনৈতিক বিষয়, এখানে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই জমি অন্যায়ভাবে ভোগদখল করা অবস্থায় ছিলাম। তাই আমরা আমাদের জমি পুনরুদ্ধার করেছি।"
হাবিবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে তারা দ্রুত আইনি সহায়তা ও গণমাধ্যমের সাহায্য চান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।