মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শীতের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীত ও কুয়াশার কারণে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই সূর্যের দেখা নেই, এবং তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি শীত মৌসুমে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগের দিন, বুধবার (১১ ডিসেম্বর), তাপমাত্রা ছিল ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা জানান, আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কিছুটা কম থাকতে পারে।
শ্রীমঙ্গলে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী আনিসুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিনের তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তাপমাত্রার এই পরিবর্তন শীতপ্রেমীদের জন্য স্বস্তি হলেও, খেটে খাওয়া মানুষের জন্য এক কঠিন সময় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ট্রাকচালক, চা বাগানের শ্রমিক এবং হাওর পাড়ের কৃষকরা। বিশেষ করে ভ্যান, রিকশা বা মোটরসাইকেল চালকদের জন্য ঘন কুয়াশা ও শীত তীব্র চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাকচালক কোরবান আলী জানান, "ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে গাড়ি চালাতে অনেক কষ্ট হয়। রাতে কুয়াশার জন্য ২০ হাত দূরের রাস্তা দেখা যায় না। রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছে, কিন্তু জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে।"
এছাড়া, শীতের কারণে শ্রীমঙ্গলে বেড়েছে শীতজনিত রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব। শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীরা এই সমস্যায় বেশি ভুগছেন। চিকিৎসকরা শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে জনসাধারণকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের অবজারভার মুজিবুর রহমান জানান, "এই মৌসুমে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা আমাদের অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।"
তাপমাত্রা আরও কমতে থাকলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে, বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য, যাদের জন্য শীতের তীব্রতা সহ্য করা অত্যন্ত কষ্টকর।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।