দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে এবার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার, পাশাপাশি শুল্কও পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপের পর হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৩ জন আমদানিকারক প্রায় ৯১ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। এসব চাল দেশে আসলে বাজারে দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দরের উপসহকারী উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধে কর্মকর্তা ইউসুফ আলী। তিনি জানান, ইমপোর্ট পারমিট পাওয়ার পর ব্যবসায়ীরা আগামী সপ্তাহ থেকে চাল আমদানির প্রস্তুতি নেবেন। ভারত থেকে আমদানিকৃত এই চাল বাজারে আসলে দাম কিছুটা কমবে, এমন ধারণা করছেন তারা।
বর্তমানে হিলি বাজারে দেশি চালের দাম বেশ চড়া। বিভিন্ন ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) হিলি বাজারে আটাশ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি দরে, যা ছিল ৫৬ টাকা। এছাড়া সম্পা কাটারি চালের দাম ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬৮ টাকা কেজি হয়ে গেছে। স্বর্ণা-৫ জাতের চালও কেজিতে দুই টাকা বেড়ে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর জিরাশাইল চালের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা কেজিতে।
তবে হিলি বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, চাল আমদানির অনুমতি পাওয়ার পর তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তবে কিছু বাধা রয়েছে। ব্যবসায়ী একজন বলেন, "আমদানির জন্য যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে তা খুবই কম। আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে বাজারে চাল পৌঁছাতে হবে। এছাড়া, এবার কিছু নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে—যে প্যাকেটে চাল আমদানি হবে, সেই প্যাকেটেই বাজারে বিক্রি করতে হবে এবং প্রতিদিনের আমদানি, বিক্রি ও মজুদের তথ্য স্থানীয় খাদ্য অফিসে জমা দিতে হবে।"
হিলি স্থলবন্দরের উপসহকারী উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধে কর্মকর্তা ইউসুফ আলী আরও বলেন, "এখন পর্যন্ত কোনো আমদানিকারক ইমপোর্ট পারমিট পায়নি। তবে, পারমিট পেলে তারা চাল আমদানি করতে পারবেন।"
এদিকে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে অনেক ব্যবসায়ী আশাবাদী যে, বাজারে চালের দাম কিছুটা কমবে এবং সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। তবে, সময়সীমা ও শর্তাবলী নিয়ে কিছুটা উদ্বেগও রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।