রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকায় পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভের মধ্যে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, এ ঘটনাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুরে শ্রমিকদের এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শফিকুল ইসলাম মন্তব্য করেন, “শ্রমিকদের যদি কোনো ন্যায্য দাবি থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত তা সমাধান করা। কিন্তু যদি এই ধরনের অগ্নিসংযোগ বিশেষ উদ্দেশ্যে হয় এবং দেশ ও অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা হয়, তাহলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।”
সকাল ১০টার দিকে কচুক্ষেত এলাকায় শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে সড়কে নামেন। এ সময় তাদের আন্দোলন থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয় এবং একপর্যায়ে তারা সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এই ঘটনায় কচুক্ষেত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ভাষানটেক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, “আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকাল থেকেই উপস্থিত ছিলাম। শ্রমিকরা আচমকা পুলিশের দিকে ইট নিক্ষেপ শুরু করে এবং পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগায়।” তিনি জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, “আমরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দুটি ইউনিট পাঠিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করি।”
বিক্ষোভের ফলে সৃষ্টি হওয়া অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে, বিশেষ করে যখন শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের আন্দোলন চলমান থাকবে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং তাদের দাবি-দাওয়ার সঠিক মূল্যায়ন করা এখন সময়ের দাবি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।