ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রকৌশলী ইকবাল কবির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের পাহাড় জমে উঠেছে। ২০২৩ সালে তার ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। কিন্তু এ অবস্থাতেও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন, যা স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।
ভিডিওটির প্রসঙ্গে জানা গেছে, এতে দেখা যায় ইকবাল কবির নিজ দফতরের চেয়ারে বসে একজন ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করছেন। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করার কথা বললেও, এর কোনো সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি নেই। এলজিইডির সূত্রে জানা যায়, তদন্তের নামমাত্র প্রক্রিয়া চলছে, কিন্তু বাস্তবে কোনো কার্যক্রম নেই।
ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা অভিযোগ করেছেন, ইকবাল কবির ঘুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের অমানবিক শর্ত আরোপ করেন। একাধিক ঠিকাদার জানান, তিনি ঠিকাদারদের ইলিশ মাছ 'উপহার' দিতে বাধ্য করেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি আ'লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রকল্পের বিল আটকে দেন এবং ঘুষের বিনিময়ে কাজের অগ্রগতি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইকবাল কবিরের বদলি আদেশ আসলেও তিনি টাকার মাধ্যমে তা থামিয়ে রেখেছেন। এ প্রসঙ্গে এক ঠিকাদার বলেন, “এ ছোট উপজেলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের নজর সহজে পড়ে না, তাই ইকবাল কবির অবাধে দুর্নীতি করছে।”
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে সামাজিক মাধ্যমেও ইকবাল কবিরের বিচার দাবি করে নানা পোস্ট হচ্ছে। অনেকে আশা প্রকাশ করছেন যে, যথাযথ কর্তৃপক্ষ এই পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এদিকে, ইকবাল কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। ঝালকাঠির এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে তদন্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় জনগণ এবং ঠিকাদারদের অভিযোগে স্পষ্ট, ইকবাল কবিরের কর্মকাণ্ডের কারণে এলজিইডি’র ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, যা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অঙ্গীকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।