ঝালকাঠির রাজাপুরে ৩৩ বছর পরে ভাইয়ের হত্যাকারীর বিচার ও পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের স্বজনরা। বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা কনভেনশন সেন্টারে এ সম্মেলনের আয়োজন করেন জাহানারা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাহানারা বলেন, "আমাদের গালুয়া ইউনিয়নের কানুদাসকাঠি এলাকার আলী হোসেন হাওলাদার, আব্দুল হাই, জাকির হোসেন, মাহবুব, গোলাম হোসেন মাসুম হাওলাদার, বাতেন হাওলাদার, জাহিদ হোসেন, বাবুল হাওলাদার ও কামরুল হাওলাদারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এক পর্যায়ে তারা আমাদের বাবার জমি দখল করে নেয়।"
জাহানারা আরও বলেন, "আমার বড় ভাই চান্দু আকন বাধা দিলে প্রতিপক্ষরা তার ওপর হামলা চালায়। ১৯৯১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে চান্দুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আমাদের পরিবারকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়। প্রাণ ভয়ে ওই রাতেই আমরা খুলনায় পালিয়ে যাই। কিন্তু চান্দুকে আর ফিরে পাওয়া যায়নি। আমি শুনেছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।"
তিনি জানান, চান্দু আকনের হত্যার বিচার চেয়ে ২০২২ সালে ঝালকাঠি লিগ্যাল এইডে মামলা দায়ের করা হয়। তবে অভিযুক্তরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়ার কারণে এবং টাকার জোরে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। জাহানারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহিন হাওলাদারের সহায়তায় অভিযুক্তরা তাদের সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাহানারা বেগম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তার ভাইয়ের হত্যার বিচার এবং পৈতৃক সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি বলেন, "আমরা ৩৩ বছর ধরে বিচার দাবি করছি, কিন্তু আজও তার কোন সুরাহা হয়নি। আমাদের পরিবারের শান্তি ফিরে পেতে আমরা সবাই আশা করছি কর্তৃপক্ষ আমাদের দিকে নজর দিবেন।"
এই ঘটনাটি স্থানীয় সমাজে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং নিহতের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে স্থানীয়রা তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।