সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির দাবীতে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার ১৪ই জুলাই ২০২৪ ০৩:৩৪ অপরাহ্ন
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির দাবীতে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত

১৯৭১ সালে পাকিস্তান কারাগারে যুদ্ধ বন্দি সকল অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গাড়াডোব এলাকায় এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 


স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কারী অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনি সদস্য কল্যাণ কমিটি এই মহা সমাবেশের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথিঃ অনানারী ক্যাপ্টেন (অবঃ) জনাব মোঃ ফজলুল হক।প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ওহিদুজ্জামান (শাফিউল)। 


কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি সার্জেন্ট (অবঃ) মোঃ রফিজ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে এবং মোঃ জাহিদ হোসাইন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেনবিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ারেন্ট অফিসার (অবঃ) মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, সার্জেন্ট (অবঃ) নূরুল ইসলাম,সার্জেন্ট (অবঃ) মোঃ শাহজাহান, সার্জেন্ট (অবঃ) জনাব মোঃ মিজানুর রহমান, মোছাঃ হাসিনা বেগম প্রমুখ। 


বক্তারা বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহানায়ক,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১১ই জানুয়ারী  বি,এম,এ (কুমিল্লা)সম্মেলনে উক্ত সকল সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষনা দেন। অথচ আজ অবধি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি মেলেনি।


১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের  ভূমিকা তুলে ধরে প্রধান বক্তার বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ওহিদুজ্জামান (শাফিউল) বলেন, পাকিস্তান কারাগারে যুদ্ধবন্দি সকল অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনি সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান ও বঙ্গবন্ধুর ঘোষনা বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোর দাবি জানান। একইসাথে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের দৃষ্টি আকর্ষণ পুর্বক প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় -কে বিষয়টি খতিয়ে দেখারও আহ্বান জানান তিনি। ইতিমধ্যে 


মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ পাকিস্তান কারাগারে যুদ্ধ বন্দি কালীন সময়ের মুল বেতন ভাতা সহ সকল সুযোগ সুবিধা ৬০ দিনের ভিতর  নিস্পত্তি করনের জন্য রাস্ট্রপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন ১২ জুলাই ২০২৪ তারিখে। সমাবেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান কারাগারে জাতির জনক এর সাথে  যুদ্ধবন্দি সকল অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনির সদস্য ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।