ভ্যাপসা গরম আর ঘন ঘন লোডশেডিং-এ দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে হিলিবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৫শে জুন ২০২৪ ০৪:২০ অপরাহ্ন
ভ্যাপসা গরম আর ঘন ঘন লোডশেডিং-এ  দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে হিলিবাসী

বেশ কয়েক দিন থেকে রোদের তীব্রতা না থাকলেও গত ৩ দিনের ভ্যাপসা গরমের তীব্রতা বেড়েছে। সঙ্গে ঘন ঘন পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। একদিকে গরম, অন্যদিকে লোডশের্ডিংয়ে কারণে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে দিনাজপুরের হিলিবাসী।


স্থানীয়রা বলছেন, সম্প্রতি সময়ে শেষ হয়ে গেছে ইরি-বোরো মৌসুমে পল্লী বিদ্যুৎ এর তেমন লোডশেডিং ছিল না। কিন্তু ইরি - বোরো মৌসুম শেষ হলেও এখন দিন-রাতে ৮ থেকে ১০ যাওয়া-আসা করছে বিদ্যুৎ। এতে ইলেকট্রিক সামগ্রী নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। অন্য দিকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার চেয়ে কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় বেড়েছে লোডশেডিং। 


হাকিমপুর হিলি পৌর শহরের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক রিপন বসাক বলেন, গতকাল সোমবার (২৪ জুন) সারারাত ভ্যাপসা গরমের কারণে ঘুমাতে পারিনি। একদিকে ভ্যাপসা গরম, অন্যদিকে বিদ্যুতের ভেলিকিবাজিতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে হিলিবাসী। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে কখনো ফিরছে ১ ঘণ্টা পর, কখনো ফিরছে ২ ঘণ্টা পর।


তিনি আরও বলেন, আজ মঙ্গলবার ২৫ জুন দিনের বেলায় ও একই অবস্থা। দিনে রাতে ঘন ঘন লোডশেডিং-এ অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম। আর মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল আসতেছে দ্বিগুণ। আমরা কোন দিকে যায়। গত মাসে আমার বিল এসেছে ৫৩৩ টাকা আর চলতি জুন মাসে বিল আসছে ৯২৩ টাকা। কিছুই বুঝতে পারছি না। 


আরেক গ্রাহক মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, গেলো ইরি-বোরো মৌসুমেও এত লোডশেডিং ছিল না। কিন্তু এখন বেড়েছে লোডশেডিং। একবার বিদ্যুৎ গেলে কখন আসবে কর্তৃপক্ষও বলতে পারছে না। সোমবার (২৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৪ টা থেকে ২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। যদিও ২ ঘণ্টা পর আসে । আবার ১ ঘণ্টা পর চলে যায়। এভাবে বিকেল থেকে সারারাত ৮ থেকে ১০ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করেছে। আজ ২৫ জুন মঙ্গলবার দিনের বেলায় ও একই অবস্থা। 


তিনি আরও বলেন, এতে গরমে যেমন মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, তেমনি ইলেকট্রিক সামগ্রী, ফ্রিজ, টিভি, ভ্যান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।হিলি ডলি মেমোরিয়াল স্কুলে অধ্যায়নরত দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোঃ শাহারিয়ার আলমাস রক্তিম বলেন, গতকাল ২৪ জুন রাত তিনটায় বিদ্যুৎ চলে গেছে আবার ১ ঘন্টা পরে আসে আবারও চলে ২ ঘন্টা পরে আসতিছে। এতে যেমন বিরক্ত লাগছে। অন্য দিকে আমার পড়া লেখার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। 


দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর হিলি সাব জোনাল অফিসের এজিএম বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, হিলি একটি স্থলবন্দর এলাকা।হিলিতে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ৬-৭ মেগাওয়াট। বিপরীতে আমরা পাচ্ছি ২-৩ মেগাওয়াট। তাই লোডশেডিং একটু বেড়েছে। আমাদের একটি ফিডার বন্ধ রেখে অন্য ফিডার চালাতে হচ্ছে। চাহিদা মতো বিদ্যুৎ পাওয়া গেলে আর লোডশেডিং থাকবে না বলে আশা করছি।