পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মাদক নিয়ে নদীতে ঝাঁপ; ৬দিন পর মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২০শে জুন ২০২৪ ০৯:১৯ অপরাহ্ন
পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মাদক নিয়ে নদীতে ঝাঁপ; ৬দিন পর মরদেহ উদ্ধার

মাদক কারবারিদের গাজার চালান বহনকালে কুমিল্লা সদরের টিক্কারচর গোমতী নদীর ব্রীজের পাশে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে, নদীতে ঝাঁপ দেয়ার ৬দিন পর আজাদ(৩৫) নামে এক অটোচালকের অর্ধগলিত মরদেহ মিলল দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ গোমতী নদীর খেয়াঘাটের পাশে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২০জুন) দুপুরে ওই মরদেহ উদ্ধার করে দেবীদ্বার থানা পুলিশ।


নিহত আজাদ কুমিল্লার কোতয়ালী থানার অরন্নপুর দর্জিবাড়ির আনোয়ার মিয়ার পুত্র। সে পেশায় অটোরিকসা চালক ছিলেন এবং ঘটনার সময় মাদক কারবারীদের গাঁজার চালান অটোতে করে বহন করছিলেন।


নিহতের বড় বোন বকুল বেগম জানান, গত শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ৭টায় তাদের বাড়ির মাদক ব্যবসায়ি শাহজাহান মিয়ার পুত্র আসিফ আমার ভাই আজাদকে অটোরিক্সাসহ ভাড়ায় নিয়ে যায়। ৫কেজি গাঁজা পাচারকালে টিক্কারচর গোমতী ব্রীজের কাছে আসলে ডিবি পুলিশের একটি দল অটো রিক্সা থামাতে সিগ্নাল দিলে আসিফ দৌড়ে পালিয়ে যায়, তার সাথে থাকা অপর এক সহযোগীকে আটক করলেও আমার ভাই আজাদ দৌড়ে গোমতী নদীতে ঝাঁপ দেয়। আজ বিকেলে দেবীদ্বার জাফরগঞ্জ গোমতী ব্রীজের কাছে লাশ পাওয়ার সংবাদ পেয়ে এসে আমার ভাইয়ের মরদেহ সনাক্ত করি।


নিহতের স্ত্রী পিয়ারা বেগম জানান, ডিবি পুলিশের অভিযানের সময় আমার স্বামী নিখোঁজ হন। মাদক ব্যাবসায়ি আসিফ আমার শ্বাশুড়িকে জানান, আমার স্বামীকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়েগেছে। ডিবি অফিসসহ নানা জায়গায় খোঁজ করি। কোথাও খুঁজে পাইনি। ঘটনাস্থলে আসার পর স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেব জানান, পুলিশের অভিযান চলাকালে একজন লোক নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ডুবে যেতে দেখেছি। ওই সংবাদ পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন করলে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের লোকজন নদীতে অনেক খুঁজেও পায়নি।


দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নয়ন মিয়া জানান, নদীতে মরদেহ ভাসছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে অপমৃত্যু দায়ের পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।