মিয়ানমারের মর্টার শেল-বুলেট পরছে বাংলাদেশে , সীমান্তে আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক
শ.ম.গফুর , উপজেলা প্রতিনিধি উখিয়া- কক্সবাজার
প্রকাশিত: সোমবার ২৯শে জানুয়ারী ২০২৪ ১২:১৮ অপরাহ্ন
মিয়ানমারের মর্টার শেল-বুলেট পরছে বাংলাদেশে , সীমান্তে আতঙ্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য উত্তপ্ত। সামরিক জান্তার ক্ষমতা দখলের তৃতীয় বার্ষিকী সামনে রেখে সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ চলছে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, যুদ্ধে চলতি সপ্তাহে ১২ থেকে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে চীন মধ্যস্থতা করে রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধবিরতির বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এদিকে রাখাইন রাজ্যে অস্থিতিশীলতার কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।


যুদ্ধের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্ত এলাকায় সতর্কতা বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ। রোববার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান। মিয়ানমারে গোলাগুলির শব্দে সীমান্তে বাংলাদেশ অংশে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

নোবেলজয়ী অং সান সু চির সরকারকে সরিয়ে দিয়ে ২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এবং বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনী যুদ্ধে লিপ্ত হয়। বাংলাদেশের সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সম্প্রতি সশস্ত্র আরাকান আর্মি হামলা চালিয়ে সেনাবাহিনীর অনেক চৌকিই দখলে নিয়েছিল। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এতদিন এসব হামলায় বলতে গেলে তেমন কোনো বাধাই দেয়নি। কিন্তু জান্তার ক্ষমতা


দখলের তৃতীয় বার্ষিকী সামনে রেখে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী একযোগে বিমান, জাহাজ এবং স্থল অভিযান চালানোর পর ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের একটি গ্রামে রোহিঙ্গাদের পেছনে অবস্থান নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের তারা মূলত ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। এ পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী


স্থল অভিযানে আরাকান আর্মিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে সংঘর্ষের মাঝখানে কয়েকজন রোহিঙ্গা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের উদ্বাস্তু সংস্থা ইউএনএইচসিআর তাদের অ্যাম্বুলেন্সে হতাহতদের সরিয়ে নিয়েছে। এমন দৃশ্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, নিহতরা মিয়ানমারে অবস্থানরত অবশিষ্ট রোহিঙ্গা সদস্য। তবে এসব তথ্যের কোনো কিছুই জান্তা সরকারের কাছ থেকে পাওয়া নয়। যুদ্ধের কোনো তথ্য দেয় না জান্তা। জান্তাবিরোধীরা ইরাবতিসহ বিভিন্ন অনলাইন পরিচালনা করে কিছু তথ্য দিয়ে থাকে।