সম্পত্তি ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে সাত বছর পর লাশ উত্তোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
এস এম তারেক হোসেন, জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১১ই জানুয়ারী ২০২৪ ০৮:০৮ অপরাহ্ন
সম্পত্তি ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে সাত বছর পর লাশ উত্তোলন

মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে অনার্স পাশ করে মাস্টার্সে ভর্তির অপেক্ষায় থাকার সময় ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর রাতে নিজ বাড়িতে বিদ্যুতস্পৃষ্টে আল কবির নামের এক ব্যক্তির (২৫) মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সাত বছর পর তার সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে দু'পক্ষ। এরই জের ধরে আদালতের আদেশে কবর খনন করে তার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।


ঘটনাটি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পূর্বমালসাদহ গ্রামের।


মৃত্যুর সাত বছর পর বৃহস্পতিবার ( ১১ জানুয়ারি)  বিকেলে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পূর্বমালসাদহ গ্রামের কবরস্থান থেকে কবিরের মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।


আদালতের আদেশ পালনে গাংনী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হোসেন শামীম, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও আব্দুল আল মারুফ ও গাংনী থানার এসআই জহির রায়হান মামলার বাদি ও বিবাদিদের উপস্থিতিতে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করেন।


জানা গেছে, পূর্বমালসাদহ গ্রামের মিজানুর রহমান খোকনের ছেলে আল কবিরকে নিঃসন্তান দম্পতি জুগিরগোফা গ্রামের আব্দুল লতিফ-হাজেরা খাতুন নিজের সন্তানের মতই লালন-পালন করেছেন। তাদের নামীয় ১৩ বিঘা জমি আল কবিরের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর বিদ্যুতস্পৃষ্টে আল কবিরের মৃত্যু হয়। পরের বছর তার পালিত বাবা আব্দুল লতিফ মারা যান। তখন আল কবিরে নামীয় সম্পত্তি দখল করে নেয় আব্দুল লতিফের ভাইসহ অন্যান্য শরিকেরা। 


এ নিয়ে আল কবিরের বাবা মিজানুর রহমান খোকন আদালতে মামলা করেন। মামলায় মিজানুর রহমান খোকন দাবি করেন আল কবির তার ঔরষজাত সন্তান। অন্যদিকে আব্দুল লতিফ পক্ষ দাবি করেন যে আল কবির আব্দুল লতিফের ঔরষজাত সন্তান। ফলে আল কবিরের সম্পত্তির মালিক কে হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতে মেহেরপুর যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আল কবিরে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনই পরীক্ষার আদেশ দেন।