ঝিনাইদহের সদর উপজেলার বাদপুকুরিয়া গ্রামে সেফটি ট্যাংকে রফিকুল ইসলাম রুবেলের লাশ উদ্ধার হওয়ার ১১ দিন পর তার হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশ।
গত ১৮ জানুয়ারি রুবেলের নিখোঁজ হওয়ার পর ৭ দিন পর তার লাশ সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়। তার মৃত্যুর পর, পুলিশ মিন্টুর ছেলে সাগরকে আটক করে, যিনি পরে পুলিশের কাছে হত্যার ঘটনার বিস্তারিত তথ্য দেন। সাগরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন: শাহিন, টুটুল, এবং টগর।
গবেষণায় জানা গেছে, রুবেলকে নেশার টাকা জোগাড়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয়েছিল। তাকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে মুখ বেঁধে রাখা হয় এবং সেখানে তার মৃত্যু ঘটে। রুবেলের লাশ গুম করতে, আসামীরা তা সেফটি ট্যাংকের মধ্যে লুকিয়ে রাখে।
ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমরান জাকারিয়া জানান, আসামীরা সবাই মাদকাসক্ত এবং তাদের পরিকল্পনা ছিল রুবেলের পরিবার থেকে মুক্তিপণ আদায় করার। তবে মুক্তিপণ না পাওয়ায় তারা পরিকল্পনামাফিক রুবেলকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় সাগরের বক্তব্য অনুযায়ী পুলিশ সাইবার টিম ঘটনাস্থল থেকে প্রয়োজনীয় আলামত উদ্ধার করেছে। এক্ষেত্রে, বুধবার রাতেই নরসিংদী জেলার চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামী টগরকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত রুবেলের পরিবারও এ হত্যাকাণ্ডের জন্য মাদকাসক্তদের দায়ী করেছে। তার ভাই আশিকুর রহমান মিঠুন জানান, হত্যার সময় যারা জড়িত ছিল তারা এলাকায় চুরি ও মাদক ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিল।
এদিকে, স্থানীয় ইউপি সদস্য আম্বিয়া আক্তার লাকি জানান, রুবেলকে নেশার টাকার জন্য হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ এখন আরও তদন্ত করছে এবং আসামীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।