বাউফলে অগ্নিকাণ্ডে ৮ বসতঘর ভস্মীভূত

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাকিবুল ইসলাম তনু, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৩০শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৫:৩১ অপরাহ্ন
বাউফলে অগ্নিকাণ্ডে ৮ বসতঘর ভস্মীভূত

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮টি বসতঘর পুড়ে গেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বগা ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আতাহার গাজী, সবুজ কাজী, রেজাউল কাজী, দুলাল কাজী, সোহেল কাজী, জসিম খান, রফিক খান ও ফজলুল খানের বসতঘর।  


স্থানীয়রা জানান, আতাহার গাজীর ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন আশপাশের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও প্রচণ্ড বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। একে একে ৮টি বসতঘর পুড়ে যায়, যার মধ্যে ৬টি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয় এবং বাকি ২টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  


ফায়ার সার্ভিসে ফোন করা হলেও অভিযোগ রয়েছে, তারা দ্রুত সাড়া দেয়নি। স্থানীয়দের দাবি, বাউফল ফায়ার সার্ভিসের নম্বরে বারবার ফোন দেওয়া হলেও ত্রিশ মিনিট পর ফোন রিসিভ করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে তাদের আরও এক ঘণ্টা লেগে যায়, ততক্ষণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যায়।  


তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বাউফল ফায়ার সার্ভিসের ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. সাব্বির আহম্মেদ জানান, তারা রাত ৯টা ৫০ মিনিটে খবর পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কিন্তু সরু রাস্তার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি। ফেরি ব্যবহার করে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগে, যার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হয়।  


এ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। ঘরের আসবাব, পোশাক, চাল-ডালসহ সবকিছু পুড়ে গেছে। অনেকের থাকার জায়গা পর্যন্ত নেই। ভুক্তভোগীরা দ্রুত সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।  


এদিকে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এলাকাবাসীও ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন।  


বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করে তাদের সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে এবং পুনরাবৃত্তি রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।  


স্থানীয়রা মনে করছেন, যদি ফায়ার সার্ভিস আরও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারত, তবে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমানো সম্ভব হতো। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।