পটুয়াখালী দশমিনায় নারী সহকর্মীর সঙ্গে পরকীয়া ও ঘুস দাবির অভিযোগে মো. মেহেদী হাসান নামের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দশমিনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই নারী সহকর্মীর স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দাসপাড়া গ্রামের পারিবারিক বিরোধের সূত্র ধরে এসআই মেহেদী হাসানের মাধ্যমে দশমিনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী পুলিশ সদস্যের শ্বশুর। সেই অভিযোগের সূত্র ধরে ওই নারী পুলিশ সদস্যের সঙ্গে এসআই মেহেদী হাসানের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এছাড়াও এসআই মেহেদী বাদীকে (নারী সদস্য) চলতি বছরের ৩০ মে মারধর করেন এবং বাদীর বাবাকে আটকে ১০ হাজার ঘুস দাবি করেন।
মামলায় ওই পুলিশ সদস্যের স্বামী আরও দাবি করেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি, বিভিন্ন সময় মারধর ও নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন এসআই মেহেদী হাসান। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যের স্বামী এসআই মেহেদীকে প্রধান আসামি করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে দশমিনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে দশমিনা থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, ওই ব্যক্তির জমি সংক্রান্ত একটি মামলা ছিল। যার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলাম আমি। মামলায় অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে তিনি মিথ্যা মামলা করেছেন। তাছাড়া তার স্ত্রীর তালাক হয়েছে। সেই ঘটনা এখন আমার ওপর চাপাতে বা আমার সম্মানহানি করতে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।