বরিশালবাসীকে জেগে উঠার আহবান মেয়র প্রার্থী তাপসের

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৬ই জুন ২০২৩ ০৯:৩৩ অপরাহ্ন
বরিশালবাসীকে জেগে উঠার আহবান মেয়র প্রার্থী তাপসের

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ইন্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, বরিশালের রাজনীতিতে চাচা ইন, ভাতিজা আউট। যখনি আওয়ামী লীগ সরকার চাচাকে মনোনয়ন দিয়ে বরিশাল পাঠিয়েছেন তখনি ভাতিজার রাজনীতি শেষ।  তিনি মনোনয়ন না পেয়ে আর বরিশাল ফেরেননি।  গত এক মাস ধরে মেয়র ছাড়া চলছে বরিশালের সিটি কর্পোরেশন কার্যক্রম। ভাতিজার দখলীকৃত স্থানে চাচার সমর্থকদের দখলে চলে গেছে, অথচ এখনো চাচা বরিশালের মেয়র হননি। তাহলে আগামী দিন গুলোর কথা চিন্তা করেন। আজ মঙ্গলবার নগরীতে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। 



তাপস বলেন, পারিবারিকতন্ত্র বা রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এ সরকার বরিশালে কাজ করছেন। এবার ভোটের মাধ্যমে জবাব দিবে বরিশালের জনগণ। গত পাঁচ বছরের কার্যক্রম বিবেচনা করে প্রার্থী বেছে নিবে বরিশালের জনগণ।  বরিশালে বিগত দিনে যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য বলেন,আপনারা যদি রাগ হয়ে ঘরে বসে থাকেন তাহলে নির্বাচন থেমে থাকবেনা।সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবশ্যই মাঠে থাকবেন। 



তিনি বলেন, এর আগে আপনারা ভোটদান করা থেকে  বিরত থাকলে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হলে সেসময় কি অবস্থা হবে সে চিন্তা করবেন আর ভোট কেন্দ্রে  এসে ব্যালটে জবাব দিন। গাজীপুরবাসী ভুল করেনি আপনারাও ভুল করবেন না। আমি বিশ্বাস করি ভোটাররা ভোট দিতে পারলে নৌকা আর জেগে উঠবেনা।তিনি বরিশালবাসীকে জেগে উঠার আহবান জানান।


তিনি আরও বলেন, সারা বাংলাদেশে উন্নয়নের অনেক গল্প আপনারা শোনেন।  তব বরিশালে কোনো উন্নয়ন নেই। বরিশালে কোনো টাকা বরাদ্দ হয়নি। একজন ভোট চাইতে এসে এসে বলছেন উনার ভাইয়ের ছেলে গত পাঁচ বছরে বরিশালে কোনো উন্নয়ন করেনি,তার কোনো যোগ্যতা নেই বলে সে পারেনি। তিনি বলেন আমাকে ভোট দেন আমি বরিশালে উন্নয়ন করে দেখাবো। গত বছর যখন উনার ভাইয়ের ছেলে নির্বাচন করলো। তিনি তখন বললেন আমি আমার ফুফুর থেকে বরাদ্দ আনবো।  উনি ভোটে দাঁড়ালেন, ভোট চুরি করলেন, নির্লজ্জ ভোট ডাকাতি করলেন এবং মেয়র হলেন। কিন্তু তিনি মেয়র থাকার পরও কোনো বরাদ্দ আসেনি এবং উন্নয়নও করতে পারেননি। কেন দেয়নি বরাদ্দ, কারণ তিনি তো ভোট চোর, বরাদ্দ দিলে তাও চুরি হবে, ডাকাতি হবে। এখন আপা পাঠালেন তার ভাই কে উন্নয়ন করতে।  অথচ তিনি বরিশালের বাসিন্দা নন। খুলনা থেকে নির্বাচন করতে তাকে বরিশালে নিয়ে আসলেন আপা। 


এদিকে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী বরিশাল সিটির ভোটার না হয়েও বরিশালে নির্বাচন করতে নির্বাচনের তিন মাস আগে নিজ মুরিদ এর বাসার ঠিকানা দিয়ে বরিশাল সিটিতে ভোট নিয়ে আসেন।  এতো দিন বরিশালের বাহিরে রাজত্ব করেছেন এখন বরিশালে আসছেন রাজত্ব করতে।   এতোদিন চরমোনাই লুটে খেয়েছেন এখন আপনাদের লুটে খেতে সিটি নির্বাচনে আসছেন।  উনার প্রতি অনুরোধ আগে বরিশাল স্থায়ী ভাবে থাকেন, মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে দাড়িয়ে নিজেকে মানুষের জন্য নিবেদিত করুণ। তারপর বরিশালের মানুষের জন্য উন্নয়ন করবার কথা বলুন। 


এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, রফিকুল ইসলাম গফুর, এস এম রহমান পারভেজ, এড. এম এ  জলিল, নজরুল ইসলাম হেমায়েত,অধ্যাপক গিয়াস,অধ্যাপক রফিকুল ইসলামসহ প্রমুখ।