গোয়ালন্দে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ২৬শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:২১ অপরাহ্ন
গোয়ালন্দে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে খামারিদের উদ্বুদ্ধ করতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলার মাধ্যমে খামারিরা ভবিষ্যতে এই খাতে আরও উদ্বুদ্ধ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।


রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী উপজেলা মাঠ চত্বরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেনারি হাসপাতাল এর বাস্তবায়নে এ মেলার আয়োজন করা হয়।


প্রদর্শনী মেলায় প্রায় ৫০টি স্টলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারিরা তাদের পালনকৃত উন্নত প্রজাতির গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কবুতরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। মেলা দেখতে সকাল থেকে সাধারণ মানুষ ভিড় করতে শুরু করে।


পরে বিকালে অংশগ্রহণকারী খামারিদের ৬টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে এ প্রদর্শনী মেলার সমাপ্ত হয়। এর আগে দুপুর ১টার দিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলা শুরু হয়।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,  উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জেলা প্রানিসম্পদ কার্যালয়ের ট্রেনিং অফিসার ও গোয়ালন্দ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের অতিরিক্ত কর্মকর্তা ডাঃ মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার।


এ সময় অন্যদের মধ্যে উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলজার হোসেন মৃধা, পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন রনি, উপজেলা পোল্ট্রি মালিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো.আঃ রহমান মিয়া, উপজেলা ডেইরী ফার্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি আঃ সালাম মন্ডল প্রমুখ বক্তব্য দেন।


অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেওয়ান তোফায়েল হোসেন।


জেলা প্রানিসম্পদ কার্যালয়ের ট্রেনিং অফিসার ও গোয়ালন্দ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের অতিরিক্ত কর্মকর্তা ডাঃ মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, 'দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই দেশে বিভিন্ন জাতের পশু পালন বিষয়ে আমরা ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছি। হাঁস-মুরগির ডিম উৎপাদনে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি। দুধ উৎপাদনেও প্রায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে। প্রাণিসম্পদের এই প্রদর্শনী পশুপালনে জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আশা করছি।'