ঘোড়সওয়ার দুই বোন, উচ্ছ্বসিত হাজারো মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
রিফাত হোসাইন সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত: শনিবার ১৪ই জানুয়ারী ২০২৩ ১০:২৬ অপরাহ্ন
ঘোড়সওয়ার দুই বোন, উচ্ছ্বসিত হাজারো মানুষ

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের বড়হট্টি এলাকায় ফসলি জমিতে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ঘিরে উৎসবে মেতেছে হাজারো মানুষ। প্রতিযোগিতায় কিশোরদের পাশাপাশি ঘোড়সওয়ার কিশোরী তাসমিনা আক্তার ও তার ৮বছরের ছোট বোন হালিমা আক্তার নজর কাড়েন  উপস্থিত দর্শকদের।


শনিবার বিকেলে ঐতিহ্যবাহী এই  ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন স্থানীয় সমাজসেবক জিয়াউর রহমান জনি। এতে নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলা, বগুড়া, জয়পুরহাট সহ কয়েকটি জেলার ৫০টি ঘোড়া অংশগ্রহণ নেয়।


আয়োজকরা দুপুর ২টায় প্রতিযোগিতা শুরুর ঘোষণা দেয়। তার আগেই আশপাশের গ্রাম থেকে মাঠে আসতে শুরু করে লোকজন। নির্ধারিত সময়ের আগেই পুরো ফসলি মাঠ ও রাস্তা কানায় কানায় ভরে যায়। শিশু কিশোর থেকে শুরু করে নারী-পুরুষ এমনকি বৃদ্ধরাও জড়ো হতে থাকেন। খেলা শুরু হয় বিকেল ৪টায়।


ঘোড়দৌড় দেখতে আসা উম্মে হাবিবা লিজা বলেন, এই প্রথম মাঠে বসেঘো ড়দৌড় খেলা দেখলাম। আমি আমার পরিবারসহ এসেছি। খুব চমৎকার লাগছে খেলা দেখতে পেরে।


তাবাসসুম খাতুন নামের এক শিশু বলেন, আব্বু আম্মুর সাথে ঘোড়দৌড় খেলা দেখতে এসেছি। কি যো ভালো লাগছে। আগামী বছর এমন আয়োজন হলে আবারও আসবো।


সামমশুল আলম ও লৎফর রহমান বলেন, নওগাঁর ধামইরহাটের তাসমিনা অনেক সুনাম অর্জন করেছে সারাদেশে। তার সাথে আজ ওর ছোট বোনও।ঘোড়দৌড়ে অংশ নিয়েছে। দুই বোনই ভালো করেছে। তাদের ঘোড়দৌড় দেখার জন্যই এসেছি আমরা।ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা খুব ভালো লেগেছে।


ঘোড়দৌড়ে অংশ নেওয়া তাসমিনার ছোট বোন হালিমা আক্তার বলেন, এই প্রথম আমি ঘোড়দৌড়ে অংশ নিয়েছি। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছি খুব ভালো লাগছে আগামীতেও খেলতে চাই।


তাসমিনা বলেন, আমার ছোট বোনের খুব ইচ্ছা সেও ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে তাই আজ খেললো। আমরা দুই ঘোড়দৌড়ে অংশ গ্রহন করে যেতে চাই আগামীতেও।


আয়োজক জিয়াউর রহমান জনি  বলেন, ‘এলাকার তরুণ ও যুবকদের নির্মল বিনোদন দিতে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে খেলাধুলার আয়োজন করে থাকি।  এবার গ্রাম বাংলার হারিয়ে যেতে বসা ঘোড়দৌড় আয়োজন করা হলো। স্থানীয় লোকজন বেশ খুশি। আগামীতেও এ ধরনের আয়োজন করা হবে। সকলের সহযোগিতা চাই।


ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেব, ঘোষনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক প্রমূখ।


অংশগ্রহনকারী তিন জন বিয়জীকে পুরুষ্কার প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় ক গ্রুপে প্রথম হন তাসমিনার ঘোড়া, দ্বিতীয় হয়েছে হালিমান খাতুনের ঘোড়া এবং  তৃতীয় হয়েছে সামছুর রহমানের ঘোড়া। এছাড়া অংশগ্রহনকারী আরও ১৩জনকেও বিশেষ পুরুষ্কার দেওয়া হয়।