বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, ঢাকা থেকে হাতিয়া, বেতুয়া, খেপুপাড়া, চরমোন্তাজ, রাংগাবালী ও মনপুরাগামী নৌপথের নৌযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা এহতেশামুল পারভেজ এক বার্তায় এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের নদীতে প্রচণ্ড রোলিং থাকার কারণে যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঢাকায় ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার ফলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মধ্য আশ্বিনের এই ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে জিগাতলা, ধানমন্ডি, আরামবাগ ও গ্রিন রোড এলাকায় পানি জমে গেছে। স্থানীয় পথচারীরা জানিয়েছেন, টানা প্রায় তিন ঘণ্টার বৃষ্টির ফলে অনেক সড়ক থেকে পানি নামতে দেরি হয়েছে, ফলে সড়কে চলাচলে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। মহাসড়কে বাস, সিএনজি ও ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
আবহাওয়ার সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে সাবধানে চলাচল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
নৌযান চলাচল বন্ধ হওয়া ও সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে জনজীবনে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তৎপরতা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।