আর মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে তেমন একটা জমে ওঠেনি মেহেরপুরের ঈদ বাজার। তবে কোরবানির পশু জবাই এবং মাংস কাটার জন্য ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রের দাম দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
গ্রামের কামারশালায় এখন আর তেমন একটা ভীড় নেই। বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে লোহার তৈরি দেশীয় অস্ত্র। স্বল্প সময়ে ঝামেলা ছাড়াই এসব দেশীয় অস্ত্র ক্রয় করছেন ক্রেতারা। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য ছোট'দা, চাপাতি, হাসুয়া, চাকু, বটি, ছুরি প্রস্তুত করে বাজারে বিক্রি করতে এসেছেন অসংখ্য ব্যবসায়ী।
এসব লোহার তৈরি দেশীয় অস্ত্র সামগ্রী স্বাভাবিক বাজারের চেয়ে ঈদ বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুন। ছোট'দা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা মূল্য যা স্বাভাবিক বাজারে ২৮০ টাকা মূল্য বিক্রি হয়। চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা মূল্য যা স্বাভাবিক বাজারে বিক্রি হয় ১৮০-২৫০ টাকা মূল্য। ছুরি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২৫০ টাকা পর্যন্ত যা স্বাভাবিক বাজারে বিক্রি হয় ৭০-১২০ টাকা মূল্যেতে।
এসব লোহার তৈরি দেশীয় অস্ত্র কামারশালা থেকে প্রস্তুত করে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের আব্দুল গফুর। তিনি জানান, ঈদকে সামনে রেখে বর্তমানে এসমস্ত দেশীয় অস্ত্র সামগ্রী স্বাভাবিক বাজারের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
গত (২৭জুন) সোমবার জেলার সর্ববৃহৎ বাণিজ্যখ্যাত বাজার বামন্দীতে সাপ্তাহিক হাটের দিন দেখা মিলে প্রায় ১৫-১৬ জন ব্যবসায়ীর। যারা লোহা ক্রয় করে কামারশালা থেকে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে সংসারে জীবিকা নির্বাহ করেন।
তেমনি একজন ব্যবসায়ী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের মাসুদুর রহমান বলেন, অন্য হাটের চেয়ে ঈদের সিজনের হাট বলে মালামাল বেশি বিক্রি হচ্ছে, বামন্দী বাজারে কেনা-বেচা বেশি হয় বলে আমি দূর থেকে প্রতি সাপ্তাহিক হাটে আসি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।