ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার প্রতিবাদে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
এস এম তারেক হোসেন, জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: সোমবার ১৩ই জুন ২০২২ ০৬:০৪ অপরাহ্ন
ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার প্রতিবাদে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের মুন্সীপাড়া মাদ্রাসাতে গত (১১ই জুন) শনিবার ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক এবং কাজিপুর গ্রামের একরামুল ইসলামের পুত্র এখলাছুর রহমানের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠে। ঘটনার প্রায় ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও আইনি পদক্ষেপ নিয়েছিল না ভুক্তভোগী পরিবার। 


পরবর্তীতে (১২ই জুন) রোববার সন্ধ্যায়  ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রীর মা রিনা খাতুন বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 


গতকাল (১২ই জুন) রোববার দুপুরে কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদে ভুক্তভোগী পরিবার ও  নওদাপাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা বিচার নিয়ে হাজির হলে চেয়ারম্যান মু. আলম হুসাইন আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন। তখন কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মহন আলী ও ব্যাবসায়ী কুদ্দুস আলীর বিরুদ্ধে একটি পক্ষ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি থামানোর চেষ্টা করে হচ্ছে এমন অভিযোগ করেন। 


এবিষয়ে কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মহন আলী জানান, 'আমি ঘটনাটি জানার পর চেয়ারম্যানকে অবগত করি যেহেতু সে ইউনিয়ন পরিষদের অভিভাবক। পরে ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর চেয়ারম্যানের পরামর্শে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আমি সার্বিক সহোযোগিতা করি।'


ইউপি সদস্য মহন আলী সহ আরেকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে অর্থ লেনদেনের। তিনি নওদাপাড়া বাজারের রড-সিমেন্ট ব্যাবসায়ী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কুদ্দুস আলী। কুদ্দুস আলী জানান, 'দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের একটি পক্ষের সঙ্গে আমাদের বিবাদ রয়েছে। এমন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ নানানভাবে আমাদের উপরে দায় চাপানোর চেষ্টা করে এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবার বিষয়টি বুঝতে পারে।'


কুদ্দুস আলী আরো জানান,' ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রীর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সময় আমরা সার্বিক সহায়তা করি এবং থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু নওদাপাড়া গ্রামের একটি পক্ষ নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে নিয়ে সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে নানান ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করেন। যার ফলে এস এম তারেক নামের একজন সাংবাদিকের সাথে আমার ভুলবোঝাবুঝি হয় কিন্তু পরবর্তীতে আমি আমার ভুল বুঝতে পারি।'