আরও ২ জেব্রা অসুস্থ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ২৯শে জানুয়ারী ২০২২ ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
আরও ২ জেব্রা অসুস্থ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আরও দুটি জেব্রা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এতে জেব্রাগুলোর মৃত্যু প্রতিরোধে জরুরি চিকিৎসা প্রদান এবং এ ধরনের অসুস্থতার কারণ উদঘাটনে পূর্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য সাফারি পার্কে এক জরুরি সভায় মিলিত হয়েছেন।


এই মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শমতো প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ।


সাফারি পার্কে চলতি মাসে ৯টি জেব্রা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং করণীয় বিষয়ে মতামত প্রদানের লক্ষ্যে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যেই আরও দুটি জেব্রা অসুস্থ হয়ে পড়ল। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা হলেন, জাতীয় চিড়িয়াখানার অবসরপ্রাপ্ত কিউরেটর ড. এবি এম শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম, অধ্যাপক আবু হাদি মো. নুর আলী খান এবং সাফারি পার্কের ভেটারেনারি চিকিৎসক হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকারনাইন।


বিশেষজ্ঞ হিসেবে সভায় যোগদান করেছেন কেন্দ্রীয় ভেটারিনারি হাসপাতালের পরিচালক ড. শফিউল আহাদ সরদার (স্বপন) এবং কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গোলাম আজম চৌধুরী (টুলু)। এর আগে পরপর ৯টি জেব্রার মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষ যে কারণ দেখাচ্ছে, তা মানতে নারাজ প্রাণী বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সংঘর্ষে জড়িয়ে মৃত্যু সন্দেহজনক। দিয়েছেন অন্যান্য প্রাণীর জীবন রক্ষায় মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বের করার তাগিদ।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক ড. আ ন ম আমিনুর রহমানের মতে, জেব্রা নিরীহ স্বভাবের প্রাণী। সচরাচর সংঘর্ষে জড়ায় না। যেহেতু জেব্রার শিং নেই তাই নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও মৃত্যুর মতো গুরুতর আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের অন্যান্য প্রাণী রক্ষায় স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সরবরাহ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় না রাখলে ভবিষ্যতে প্রাণিসম্পদ হুমকির মুখে পড়বে বলে জানান এ বিশেষজ্ঞ।


পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আফ্রিকান জেব্রা মারা যাওয়ার সঠিক কারণ ও প্রতিকারে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।