টেকনাফে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন শেষে ফেরার পথে বিএনপির মিছিলে হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আমান উল্লাহ কবির, উপজেলা প্রতিনিধি টেকনাফ (কক্সবাজার)
প্রকাশিত: সোমবার ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:২৯ অপরাহ্ন
টেকনাফে পুষ্পার্ঘ্য  অর্পন শেষে ফেরার পথে বিএনপির মিছিলে হামলা

টেকনাফ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন শেষে টেকনাফ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংঠনের মিছিলে গডফাদার আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে চোরাগুপ্ত হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। 


২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 


এতে টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহাদতের উপস্থাপনায় লিখিত বক্তব্যে টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. হাসান ছিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, '১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা ও তাদের মাগফেরাত কামনা করে ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির হয়েছি।


 ২১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২ টারদিকে টেকনাফ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে টেকনাফ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংঠনের পুষ্প অর্পন ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফেরার পথে মিছিলে আব্দুল্লাহর পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে সশস্ত্র ৫/৬ টি মোটর সাইকেল যোগে টেকনাফ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আহমদ শফি, ইউনুচ, রফিক , আজিজ, মুন্না, কালো, মোহাম্মদ করিম, নুর কামাল, শাহলম বিপ্লবসহ আরো ৪/৫ জন স্বশস্ত্র ভাবে অতর্কিত হামলা চালায়। 


হামলায় টেকনাফ উপজেলা বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। এসময় তারা আহত নেতা কর্মীদের মূল্যবান মোবাইল, অর্থ চিনিয়ে নিয়েছেন । এই হামলায় টেকনাফ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম উসমান গণি, হ্নীলা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, হ্নীলা উত্তর যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ হারুনসহ আরও অনেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতিহত ও পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতির কারনে হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।



বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে সময় টেকনাফ উপজেলা বিএনপি দলকে শক্ত করে একটি গতিশীল ও শক্তিশালী আন্দোলনমুখী সংগঠন তৈরী করে দলীয় সকল কর্মসুচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে গনতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেই সময় দলের ভেতর ঘাপটি মেরে গ্রুপিং সৃষ্টিকারী সরকারী দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আত্নস্বীকৃত মাদক ব্যবসায়ী এই বিএনপি নেতার ভাইদের অর্থায়নে দলকে সুসংগঠিত করতে না দেওয়ার জন্য এই চোরাগোপ্তা হামলা বলে সাধারণ নেতা কর্মীদের বিশ্বাস । এই ঘটনা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা মাত্র । 


দলের নাম ভেঙে দলের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা ও সরকারি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এই কোষাধক্ষ্য আবদুল্লাহ, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আহমদ শফিসহ অন্যান্য যাদের সাংগঠনিক দায়িত্ব আছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে তাদের পদবী থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল জেলা বিএনপি ও জেলা ছাত্রদলের নিকট আবেদন জানাচ্ছি এবং তাদের এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। টেকনাফ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যারা এই ধরণের হামলা করেছে তাদেরকে স্থানীয়ভাবে যে যে অবস্থায় আছে সেখান থেকে চরমভাবে প্রতিহত করা হবে।' 


সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে সভাপতি হাসান ছিদ্দিকী জানান, এবিষয়ে সাংগঠনিকভাবে আইনী প্রক্রিয়া গ্রহন করা হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মোঃ হাসেম মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. সেলিমুল মোস্তফা, আলী আহমদ মেম্বার, মোহাম্মদ কাইয়ুম, জোনাইদ আলী চৌধুরী, এড. রশিদুল আলম চৌধুরী, আবদুল আমিন আবুল, নুরুল হুদা, রফিকুল আলম চৌধুরী, ফয়সাল আমিন দুজয়, মোক্তার হোসেন, ওমর সাদেক, গিয়াস উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম হদয়, কুদ্দুস, হারুন, হেলাল, আনোয়ার প্রমুখ।