গুরুত্বহীন বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য (!) অপরিচ্ছন্ন মুজিবনগর কমপ্লেক্স

নিজস্ব প্রতিবেদক
এস এম তারেক হোসেন, জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: বুধবার ১৫ই ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:৫৪ অপরাহ্ন
গুরুত্বহীন বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য (!) অপরিচ্ছন্ন মুজিবনগর কমপ্লেক্স

স্বাধীনতার সূতিকাগার মুজিবনগরখ্যাত মেহেরপুর। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বৈধনাথতলা (আম্রকানন) মুজিবনগরে শপথ নিয়েছিলো বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপ্রতি ও তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করা হয় মুজিবনগর অস্থায়ী সরকারের। অধ্যাপক ইউসুফ আলীর কাছে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে শপথ বাক্য পাঠ করে মুজিবনগর সরকার। 


১৯৭১ সালের ১৬-ই ডিসেম্বর দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার দীর্ঘদিন পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিবনগর উন্নয়নের কাজ হাতে নেন। এবং মুজিবনগর কমপ্লেক্স নির্মীত হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান সহ বিভিন্ন দেশের অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন ভীড় করেন মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে। 


স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী সরকারের স্মৃতি বিজড়িত মুজিবনগরে স্বাধীনতার ৫০ বছরে দাড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যের প্রতি অপরিচ্ছন্নতা চোখে পড়ে। আজ বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের আগের দিন মুজিবনগর কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষ্কর্যটি যত্নহীন অবস্হায় রয়েছে। শুধু বঙ্গবন্ধু না সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার ভাষ্কর্যে দীর্ঘদিন ধরে কোন পরিষ্কার কিংবা রঙের কাজ হয়নি। যার ফলে ভাষ্কর্যের উপর ময়লা জমাটবদ্ধ হয়েছে। 


যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের মানুষ চিনেছে। যার হাত ধরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতা এবং সম্পুর্ন মুজিবনগর কমপ্লেক্সের এমন অব্যাবস্হাপনা ও যত্নশীলতার অভাবে অসন্তুষ্ট ও দুঃখীত মেহেরপুরবাসী।


মেহেরপুরের জেলার বাসিন্দা মোঃ মকলেচুর রহমান স্বপন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যের প্রতি যত্নশীলতার অভাব কোন ভাবে কাম্য নয়।


গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ জাবির আল প্লাবন বলেন, সংশ্লিষ্ট ও দায়িত্ববান দপ্তরের অবহেলার জন্য এই অবস্থা। 


মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার বলেন, আমি উদ্যেগ নিয়েছি। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ ও অপরিচ্ছন্নতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেনি।


বিষয়টি অবগত রয়েছেন বলে জানান মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার আমি কথা বলেছি। ১৬-ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা দিবসের আগে রঙ ও পূর্ণ পরিচ্ছন্নতার কথা থাকলেও ঢাকায় থেকে রঙ এবং প্রয়োজনীয় জিনিস আসে। যার ফলে দ্রুত কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে শীঘ্রই সব কিছু পরিবর্তন করে নতুন রঙ ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে নজর দেওয়া হবে।