কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে মাইশা আক্তার (১৬) নামে এক মাদরাসাছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মায়ের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার চর দেহুন্দা ইউনিয়নের চর দেহুন্দা গ্রাম থেকে ওই মাদরাসাছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মাইশা আক্তার উপজেলার চর দেহুন্দা ইউনিয়নের চর দেহুন্দা গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি কওমি মাদরাসার ছাত্রী। এ ঘটনায় তার মা স্বপ্না আক্তারকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বপ্না বেগমের সঙ্গে তার খালাতো ভাই ফাইজুলের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় মা ও তার প্রেমিক মিলে মাইশাকে হত্যা করেছে। তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিহত মাইশার মা স্বপ্না বেগম জানান, তার মেয়ে মাইশার সঙ্গে ফাইজুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অনেকবার সতর্ক করার পরও মাইশা এ সম্পর্ক বজায় রাখায় তিনি তার মেয়েকে হত্যা করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, স্বপ্নার স্বামী বাবুল মিয়া ঢাকায় একটি কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ড হিসাবে কাজ করেন। এ সুযোগে ফাইজুলের সঙ্গে স্বপ্নার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিসও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গত বুধবার (৩ নভেম্বর) মাদরাসা থেকে ছুটি নিয়ে মায়ের কাছে আসে মাইশা। রাতেই তার মা স্বপ্না আক্তার ও প্রেমিক ফাইজুল মিলে মাইশাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ঘটনার পরপরই মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান ফাইজুল। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশীরা ঘরে মাইশার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মাইশার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় এবং মা স্বপ্না বেগমকে আটক করা হয়।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছুল আলম সিদ্দিকী জানান, মাইশা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত করছে। খবর পেয়েই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মা স্বপ্না বেগমকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।