রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনের ছাদের পলেস্তার ভেঙে গুরুতর আহত হয়েছেন তিন নারী। এ ঘটনায় ওই ভবনে থাকা আরো পাঁচটি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসা নারী প্রশিক্ষণার্থীরা চরম আতংকে রয়েছে।
আহত নারীরা হলেন- বহরপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের গওছেল আজমের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন (২৫), মোয়াজ্জেম খানের স্ত্রী কহিনুর বেগম (৩০) ও বাবুলতলা গ্রামের মিনা আক্তার (২০)। আহতদের মধ্যে মিনা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন। আর অন্য দুজন এখনও চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। এরা তিনজনই মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আধুনিক দর্জি বিজ্ঞান প্রশিক্ষণের শিক্ষার্থী।
রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরিত্যক্ত এই কোর্ট বিল্ডিংয়ে মহিলা বিষয়ক ছাড়াও উপজেলা পরিসংখ্যান, শিক্ষা প্রকৌশলী, দারিদ্র বিমোচন ও সেটেলমেন্ট অফিস রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন এরা সরকারি কাজ করে যাচ্ছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পুরো অফিসের ছাদেই ফাটল ধরেছে। খসে পড়ছে পলেস্তর। প্রশিক্ষণ কক্ষে গিয়ে দেখা যায় ছাদের পলেস্তর খুলে মেঝেতে পড়ে আছে। ভয়ে কেউ কক্ষে প্রবেশ করছে না। প্রশিক্ষণার্থী নারীরা অফিসের বারান্দাতে সারিবদ্ধ ভাবে বসে আছে। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আহত তিন নারীর চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা জেসমিন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই আমরা এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। বিষয়টি বেশ কয়েকবার কর্তৃপক্ষকে বলেছি। আজ সকালে প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে ছাদের পলেস্তর ভেঙে প্রশিক্ষণার্থীদের মাথার উপর পড়ে। এতে তিনজন মারাত্বক আহত হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হাসিবুল হাসান বলেন, ঘটনাটি শোনার পরই আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি। খুব দ্রুতই তাদেরকে নিরাপদ জায়গাতে সরিয়ে আনা হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোর্ট বিল্ডিংটি অনেক পুরাতন এবং ওটাকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। আমরা খুব দ্রুতই তাদেরকে নিরাপদ জায়গাতে ফিরিয়ে আনব।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।