মেহজাবিনের প্রশ্ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে কিসের ঘর?

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো: তাসলিম উদ্দিন, উপজেলা প্রতিনিধি সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
মেহজাবিনের প্রশ্ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে কিসের ঘর?

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে বারটা সরাইল সদর উচালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঢুকতে  প্রধান প্রবেশ দ্বারে গেইটের সামনে বড় একটি গাছ। গাছের কারণে ঢুকতে গিয়ে মেহজাবিন বলে বাবা, স্কুলের গেইটের সামনে এত বড় গাছ। পড়ুয়া কোমলমতী  ছাত্রছাত্রীরা ঢুকতে মনে হয় সমস্যা হবে। স্কুলের ঢুকতে এবং স্কুল ছুটির সময় বাহির হইতে অনেক শিক্ষার্থী ব্যাথা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাবা। 


মারে চল স্কুলের বিতরে যায়, এতদিন ধরে এখানে গাছটি আছে কারো চোখে পড়েনাই তুমি এগুলো দেখতে যাবে কেন। বাবা গাছটাতো পকেট গেইটের বরাবর তাই। চল তোমার হেড স্যার বসা আছে। প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকেই মেহজাবিন সালাম দিল। প্রধান শিক্ষক  অলাইকুম সালাম বলেই মেহজাবিন বস। একজন শিক্ষক কয়েক  শিক্ষিকা বসা, মেহজাবিন বলে,বাবা স্কুলের পরিবেশটা অনেক সুন্দর খুব গোছানো,আমি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ি।  


স্কুলের কাজ সেরে মেহজাবিন বলে বাবা, সরাইল শিক্ষা অফিসার আব্দুল আজিজ স্যারকে ফোন দেন এই গাছটির ব্যাপারে। মারে ফোন দিয়েছি উনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বলেই রাস্তার সামনে রিকশা চড়ে সরাইল উপজেলা রাহমাতুল্লিল আলামিন দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের অফিস রোমে সালাম দিলে স্যার ওয়ালাইকুম আসসালাম বলে বসেন, কথা বলার পর মাদ্রাসার  দক্ষিণ পাশের অবস্থা দেখে মেহজাবিন বলে বাবা, সরাইল- লাখাই  সড়কের পাশে সদরে এতো  সুন্দর পরিবেশের মাঝে একটি ঘর তালা, অন্য  ঘরটিতে মনে হয় গরু রাখার ঘর। বাবা সকলের চোখের সামনে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা এমন হয়। আর বাকী স্কুলের  কি অবস্থা। 


বাবা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বললেন, বিভিন্ন কথা তবে বাবা বতর্মান করোনার সময় শিক্ষা প্রতিষ্টানের অবস্থা এমন হলে। স্বাস্থ্যবিধির কি অবস্থা হবে। মারে চুপচাপ স্যারের কথা শুন। আচ্ছা বাবা আমি জানি সরাইল উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা উনি খুব বিজ্ঞ অফিসার। উনার অনেক সুনামের সহিত সরাইল উপজেলা কাজ করে যাচ্ছেন শিক্ষার মানোন্নয়নে। গত কয়েকদিন আগে উনার অফিসে গেলাম অনেক ভালো লাগলো সুন্দর অফিস। তবে বাবা উনার দৃষ্টি  দেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। মারে তুমি এত কথা বলে না, শুন। 


এ ব্যাপারে, সরাইল উপজেলা রাহমাতুল্লিল দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক, মো. আবু আক্কাছ হায়দার বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা গরু ও বনলাস স্কুলের বিতর থেকে পরিষ্কার করেছি। বাকি জায়গাটুকু দু'একদিনের মধ্যে পরিষ্কার করা হবে। তিনি বলেন, একটু অপেক্ষা করেন।

 এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, আজ সরাইল উপজেলা রাহমাতুল্লিল দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছি। প্রধান শিক্ষককে এ ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।