শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে রোগীদের জন্য বরাদ্দ খাবার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি বরাদ্দে যে খাবার সরবরাহ করার তালিকা রয়েছে, সেসব খাবার কখনো পূরণ না করে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এখানকার রোগীরা।
রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত বরাদ্দে প্রতিটি রোগীর জন্য সকালে ও দুপুরে যে ধরনের খাবার ও যে পরিমাণ খাবার সরবরাহ করার কথা, রোগীরা সে পরিমাণ খাবার পাচ্ছেন না। এখানে পরিবেশন করা সকল খাবারই নিম্নমানের। হাসপাতালে মাছ, মুরগী ও খাসির গোসত থাকার কথা থাকলেও সকালে দেওয়া হচ্ছে একটি ফার্মের মুরগির ডিম একটি কলা ও এক পিস রুটি দুপুর ও রাতের জন্য প্রতিদিন পাঙ্গাস মাছ ও মাঝেমধ্যে পোল্ট্রি মুরগি দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই ) দুপরে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের রান্না ঘরের দায়িত্বে থাকা মোঃ খলিল মুন্সির সাথে কথা হয়। তিনি আমাদের জানান পাঙ্গাস মাছ রান্না হয় মাঝেমধ্যে পল্টি মুরগি রান্না করা হয়। করণা রোগী এবং অন্য সকল রোগীদের জন্য একই খাবার তৈরি করা হয়।
হাসপাতালে ভর্তি রোগী চর পালং এলাকার আব্দুর রহিম জানান খাবার যা দেয় নরমাল খাবার দেয় সকালে এক পিস রুটি একটা ফার্মের মুরগির ডিম একটা কলা মাঝেমধ্যে পচা ডিম পাড়ে। আর দুপুরে পাঙ্গাস মাছ মাঝে মধ্যে দু'একদিন মুরগি অনেক ছোট ছোট পিস
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন কুমার পোদ্দার আমাদের জানান আমাদের হাসপাতাল হলো ১০০ শয্যা হাসপাতাল এবং প্রতিটি রোগের খাবার জন্য ১২৫ টাকা করে ধরা আছে আর যারা করণা পজিটিভ তাদের খাবার জন্য ধরা আছে ৩০০ টাকা করে।
আমাদের হাসপাতালে গরে ১৩০ থেকে ১৫০ জন রোগী ভর্তি থাকে। প্রতিজন ১২৫ টাকা করে ধরা আছে একশ জনের জন্য কিন্তু রোগী ভর্তি থাকে ১৫০ জনের মত প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন এর মত বেশি থাকে, তাই ১২৫টাকা করে যে ধরা থাকে রোগীদের পুরোপুরি খাবারটা দেওয়া যাচ্ছে না কারণ এই টাকার উপর সবাইকে খাবার খাওয়ানো হয়।তারপরও আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি যাতে এর ভিতরে খাবারের মান ভালো হয়।
করোনা রোগীদের খাবারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন দু-একদিনের মধ্যে আমরা করোনা রোগীর খাবার অন্য জায়গা থেকে তৈরি করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করব।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।