স্মার্টফোন চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র কওে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুলাল ইসলাম (১৭) নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিকেলে উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ঠুনঠুনিয়া গ্রামের মসজিদের সামনে এই হত্যাকান্ডটি ঘটে। এ ঘটনায় ঘাতক মুজিবুল্লাহ সৈকতকে (১৭) আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ।
নিহত দুলাল ঠুনঠুনিয়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে। আর ঘাতক সৈকত একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। ঘাতক নিহত দুলালের ফুফাতো ভাই।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে সৈকত দুলালের মোবাইলটি বাড়ি থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। পরের দিন দুলাল তার স্যাম্ফনি-৩২ মডেলের স্মার্টফোনটি সৈকতের হাতে দেখতে পেয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে আরেক তরফা ঝগড়া হলে দুলাল মারধরে আহত হয়। সে সময় সৈকত তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
এই বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে দুলাল মসজিদের সামনে স্থানীয় লোকজনের সাথে আড্ডা দেয়ার সময়ে সৈকত অতর্কিতভাবে ছুরি দিয়ে এলোপাতারি হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয়ে দুলাল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সৈকত পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে।
এদিকে দ্রæত দুলালকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.ইয়াসার হাবিব তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে পুলিশ ঘাতক সৈকতকে গ্রেফতার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের চাচাতো ভাই হযরত আলী ও দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার সময় আমরা উপস্থিত লোকজনের সামনে সৈকত দুলালকে এলোপাতারিভাবে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করতে দেখি। দুলালকে সবাই বাঁচানোর চেষ্টা করি, কিন্তু সৈকত মাত্রাতিরিক্ত নেশাগ্রস্ত হওয়ায় পেরে উঠতে পারিনি। এ ঘটনার ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে নিহতের চাচা মশিউর রহমান জানান, কিছুদিন আগে দুলালকে স্মার্টফোনটি কিনে দেয়া হয়। ঘাতক সৈকত সম্পর্কে ভাগিনা হয়। সে বাড়িতে এসে আড্ডা দিত, খেতো। গত মঙ্গলবার রাতে দুলালের স্মার্টফোনটি চুরি হয়ে গেলে জানায়। ফোনটি চাইতে গেলে ঘটনাটি ঘটলো।
এ বিষয়ে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপরই ঘাতক সৈকতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।