রংপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ শঠিবাড়ী রংপুরের অধীনে সুন্দরগঞ্জে অনেক গ্রাহক কতৃপক্ষের হয়রানির শিকার হয়ে পথে বসতে চলেছে । ১০ কেভির স্থলে ৫ কেভি ট্রান্সফরমার স্থাপনের ঘটনাও ঘটছে।
পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির নিয়মানুযায়ী শিল্প সংযোগের জন্য আবেদনের ১৮ কার্য দিবস সেচ পাম্প লাইন নির্মাণে ১৪ কার্য দিবস ও মিটার স্থাপনে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার নিয়ম থাকলেও পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি শঠিবাড়ী রংপুর ও সুন্দরগঞ্জ জোনাল অফিসের কর্তা বাবুরা বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে গ্রাহকদের বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়া হয়রানি করছে ।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ভেলারায় গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র কাজিউল ইসলাম শিল্প (রাইস মিল) লাইন নির্মাণ ও জামানত বাবদ ২০/০৭/২০ ইং তারিখে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪ শত ৮৮ টাকা সুন্দরগঞ্জ জোনাল অফিসে জমা দেন । খামার ধুবনি গ্রামের বাছরত আলীর পুত্র রাশেদুল ইসলাম সেচ পাম্প লাইন নির্মাণের জন্য ০৪/০২/২১ ইং তারিখে ১ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা জমা দেয়।
খামার পাচগাছী গ্রামের এছাহাক আলীর স্ত্রী আলেমা বেগম (আলেয়া) সেচ পাম্পের জন্য ০৯/০২/২১ ইং তারিখে ৫২ হাজার টাকা জমা দিলেও আজ পর্যন্ত তাদের লাইন নির্মাণের কাজ হয়নি । এমনকি খামার পাচগাছী গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের পুত্র এছাহক আলী ৪/৫ মাস পুর্বে নিজ বাড়ীতে ধান ভাঙ্গা রাইস মিলের সংযোগ নেয় । ঠিকাদার রুবেল মিয়া দুর্নীতির মাধ্যমে ১০ কেভি ট্রান্সফরমার স্থলে ৫ কেভি ট্রান্সফরমার লাগিয়ে দেয় । এতে গ্রাহকের প্রায় ৬০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়।
এছাড়াও উপজেলার শত শত গ্রাহক জমিজমা বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা দিয়েও ৯/১০ মাস অতিবাহিত হলেও বিদ্যুতের লাইন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়না । গ্রাহক কাজিউল ইসলাম জানান, ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে বিদ্যুতের খুটি ও তাঁর নেয়া হয় । ট্রান্সফরমার লাগার জন্য ঠিকাদার রুবেলের ফোরম্যান মোকছেদ আলীর মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন ।
টাকা দিতে অস্বীকার করায় ট্রান্সফরমার লাগানো হচ্ছে না । এব্যাপারে এজিএম নুরুর ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন সঠিক সময়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছি । ট্রান্সফরমার মজুত না থাকায় সরবরাহে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।