শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার তিন পরিবার ৪০ দিন ধরে অবরুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: সোমবার ১লা মার্চ ২০২১ ১২:৩৯ অপরাহ্ন
শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার তিন পরিবার ৪০ দিন ধরে অবরুদ্ধ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার তিন পরিবারের বসতবাড়ির গাছপালা কেটে বাঁশের বেড়া দিয়ে ৪০ দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি তারা। তাই অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের কাছে বিচারের দাদি জানান শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মিজানুর রহমান।



সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের চর ঠাংঝাড়া গ্রামে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েক মজিবর রহমানের (ইপিআর) ছেলে মো. মিজানুর রহমান ও তার মৃত ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল ও মোশারফের মাত্র ৩০ শতক জমির বসতবাড়ির গাছপালা কেটে মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে। তাদের চলাচলের একটু জায়গা দিয়ে তিন বাড়ির চারদিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।


মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমিসহ আমার তিন ভাইয়ের নামে রেকর্ডকৃত বসতবাড়ির ৩০ শতক জমিতে ১৯৬৬ সাল থেকে বসবাস করে আসছি। প্রতিপক্ষ শহিদুল ইসলামের লোকজন জমিতে থাকা গাছপালা কেটে ফেলে বাড়ির চারদিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে আমাদের তিন পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে।’


এ সময় তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে ইনিউজ৭১ কে বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবারের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। পরিবার নিয়ে আতঙ্কে আছি। যখন তখন ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে আমাদের উচ্ছেদ করতে পারে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এলাকার এমপি মোতাহার হোসেনের কাছে বিচার চাই। যাতে এই বসতভিটায় বসবাস করতে পারি। জায়গা জমি বলতে বসতভিটে ছাড়া কিছুই নেই।’


এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা মৃত আব্দুল কাদেরের নামে ৬২ সালের রেকর্ড অনুযায়ী আমরা এই জমির মালিক। বিষয়টি নিয়ে আমরাও থানায় অভিযোগ করেছি। দু’পক্ষের মধ্যে একটি বৈঠক হলে সমাধান হবে।’



তিনি এক প্রশ্নে গাছ কাটা ও বাঁশ দিয়ে বাড়ি ঘিরে রাখার কথাটি স্বীকার করেন।এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা থানার অভিযোগ তদন্তকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়। তবে এক পক্ষ না আসেনি। তাই মামলাটি জমি সংক্রান্ত হওয়ায় আদালতে পাঠানো হবে।’


এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এক এসআই। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। গাছপালা কেটে ফেলায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।