চোখে সাদা চশমা, হাতে ঘড়ি, গায়ে চকলেট রংয়ের কোট, সাদা চুল-দাড়ি। বয়সের ভারে প্রায় নুয়ে পড়ছেন। বয়স ৭৮-৮০ এর কাছাকাছি। নাম আলী হোছাইন। পর্যটন নগরী কক্সবাজার সৈকতে বসে চা বিক্রি করছে।
অসংখ্য পর্যটকদের ভীড়ে বালিয়াড়িতে চা'র কেটলি, চায়ের প্লাস, বিস্কুটের ২-৩ টি বয়ম ও কয়েকটি কাপ নিয়ে বসে আছেন। সংসারে একমাত্র রোজগার দাতা তিনি। চা বিক্রি করে এই বয়সেও পরিবারের ঘানি টানছেন। দিন শেষে যা পায় তা দিয়ে দুঃখ কষ্টে সংসার চালছে । হাত পাতেননি কারো কাছে।
২১ ফেব্রুয়ারি রোববার পড়ন্ত বিকালে কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টস্থ সৈকতে অসংখ্য পর্যটকদের ভীড়ের মাঝে ওই বৃদ্ধের প্রতি নজর কাড়ে এই প্রতিবেদকের। এসময় চা পান করতে করতে আলাপ হয় বৃদ্ধের সাথে। তিনি জানান- স্ত্রী, ৫ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে পরিবার। থাকেন কক্সবাজারের বাদশা ঘোনা নামক এলাকায়। একমাত্র ছেলেসহ আরো ২ মেয়ে পড়াশুনা করে।
পরিবারের একমাত্র রোজগার দাতা তিনি। বৃদ্ধের রোজগারে যা পাই তাতেই ছেলেমেয়েদের লেখাপড়াসহ সকল খরচ বহন করতে হয় । চা বিক্রি করে দৈনিক ৩৫০-৪০০ টাকা পর্যন্ত পান। অনেক সময় ২০০-৩০০ টাকা মেলে। তাতেই সংসারের যাবতীয় খরচ বহন করতে হয়। অনেক সময় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় বৃদ্ধকে। তবুও কারো কাছে করুণার পাত্র হননি।
হাত পাতেনি কোন ধনী মানুষের কাছে। মানুষের দ্বারেদ্বারেও যাননি। কর্ম করেই সংসার ভালোই চালাচ্ছেন। বৃদ্ধ আলী হোছাইন বলেন, আল্লাহ হাত, পা দিয়েছে ভিক্ষার জন্য নই, এখনো পা চলে। যতদিন বেঁচে আছি চা এর ব্যবসা করে যাব। যতই কষ্ট পায়, মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইবনা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।