শরীয়তপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মেহেদী হাসান, জেলা প্রতিনিধি ভেদরগঞ্জ (শরিয়তপুর)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
শরীয়তপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ

শরীয়তপুরে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪ টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত এবাদুল হক মৃধা (২৫) সদর উপজেলার দক্ষিণ ভাষানচর গ্রামের ছমেদ মৃধার ছেলে।


মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে সদর উপজেলার চরচটাং গ্রামের খাদিজা আক্তার মধুর সঙ্গে একই উপজেলার দক্ষিণ ভাষানচর গ্রামের এবাদুল হক মৃধার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে এবাদুল তার স্ত্রী মধুকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে মারধর করতেন।


শেষ গত ২০১৮ সালের ১৫ মে বিকেল ৫ টার দিকে মধুর বাবার বাড়ি থেকে ৬০ হাজার টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এবাদুল। যৌতুকের টাকা আনতে অস্বীকার করলে মধুকে প্রথমে মারধর করে, পরে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এবাদুল।


ইদিন স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে মধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় ১৬ মে ২০১৮ নিহতের মা আমেনা বেগম (৫৬) সদরের পালং মডেল থানায় সাতজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় মধুর স্বামী এবাদুল হক মৃধা, ভাসুর শাহ আলম মৃধা, দ্বীন ইসলাম মৃধা, সাইদুল মৃধা, শ্বশুর চমেদ মৃধা শাশুড়ি রিজিয়া বেগম, জা রুজিনা বেগমকে আসামি করা হয়।


তদন্ত শেষে পালং মডেল থানার পুলিশ একজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এবাদুল হক মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালতের বিচারক। অপর তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় তাদের বেকসুর খালাস দেন।


শরীয়তপুরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মির্জা হজরত আলী বলেন, যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রী মধুকে হত্যা করেছে ঘাতক স্বামী এবাদুল। আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে, আমরা এ রায়ে খুশি হয়েছি।