ফের বরিশালে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০২:৩৪ অপরাহ্ন
ফের বরিশালে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

পূর্বঘোষিত তিন দফা দাবি না মানায় ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষে পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বরিশাল থেকে ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা ও কুয়াকাটাগামী যাত্রীরা।


শুক্রবার বিকাল ৫টার কিছু সময় পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এর আগে বিকাল ৫টায় শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।


আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাদের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় পুলিশ রহস্যজনক কারণে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহতরা হামলাকারীদের নামের তালিকা দিলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে মামলা না করে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়, যা শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করেছে।


গত বুধবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ১০ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। সেদিন বিকালে এই হামলার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করা, দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে ভূমিকা নেয়ার তিন দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এসব দাবি পূরণে শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তারা। সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় আবার আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।


এদিকে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলার শিকার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে বরিশাল সদর আসনের সাংসদ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন।


শুক্রবার দুপুরে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা করেন তারা। প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আমিন উদ্দিন আহমেদ মোহন, বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মাহিদুর রহমান মাহাদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা অমিত হাসান রক্তিম প্রমুখ।


এসময় আমিন উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সারাদেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা জরুরি। কিন্তু অদ্ভুতভাবে একটি পক্ষ হামলার জড়িতদের আড়াল করার চেষ্টা করছে বলে আহতরা জানিয়েছেন।