আল্লাহ তাআলা মানুষকে ঈমানের সঙ্গে আমল করার কথা বলেছেন। মানুষ জেনে শুনেই বিশুদ্ধ ঈমান ও সঠিক আমলের দিকে মনোনিবেশ করবে। ঈমান ও আমলে নিয়তে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব অনেক বেশি। এ কারণেই আল্লাহর কাছে আলেম বা জ্ঞনীদের মর্যাদা অনেক বেশি। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং দারে (কুরআন-সুন্নাহর) জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাআলা তাদের মর্যাদা অনেক উঁচু করে দেন।’ (সুরা মুঝাদালাহ : আয়াত ১১)
প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক নারী-পুরুষের জন্য জ্ঞানার্জন করা আবশ্যক।’ কেননা এ জ্ঞানার্জনের মাধ্যমেই মানুষ কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক জীবন ও সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।
পক্ষান্তরে যারা ঈমান ও আমলের জন্য নয় বরং অন্য উদ্দেশ্যে জ্ঞানার্জন করে তাদের করুণ পরিণতির কথাও প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে সুস্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরেছেন-
‘যে ব্যক্তি অজ্ঞ বা মুর্খদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করার উদ্দেশ্যে কিংবা আলেম বা জ্ঞানীদের সঙ্গে অহংকার করার জন্য কিংবা মানুষের মনোযোগ আকৃষ্ট করার নিয়তে ইলম বা জ্ঞানার্জন করবে, সে জাহান্নামে যাবে।’ (ইবনে মাজাহ)
সুতরাং মুসলিম উম্মাহ জেনে বুঝে এরকম আত্মঘাতি নিয়তে জ্ঞানার্জন করা উচিত নয়। যে নিয়তের ফলে মানুষের দুনিয়ার জিল্লতি এবং পরকালের চিরশান্তি বিনষ্ট হবে।
বরং মুসলিম উম্মাহর উচিত, ঈমান ও আমলের নিয়তে দুনিয়া ও পরকালের জীবনকে সর্বোত্তম শান্তি ও নিরাপত্তায় সাজানো। ইলম হাসিলের উদ্দেশ্য হবে এমন- যে ইলম নিজে শিখবে, তা অন্যকে শিক্ষা দেবে এবং অর্জিত ইলম বা জ্ঞান অনুযায়ী বাস্তব জীবনে নিজে আমল করার পাশাপাশি অন্যকেও আমল করার দাওয়াত দেবে।
প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সে হাদিসের প্রতি আমল করা। যেখানে তিনি বলেছেন-
‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে ব্যক্তি যে নিজে কুরআন শিখে এবং অন্যকে শেখায়।’
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের জ্ঞানার্জন করে নিজে ঈমান ও আমল ঠিক করার পাশাপাশি অন্যকে দ্বীনের প্রতি আগ্রহী করে তোলার তাওফিক দান করুন। ইলম বা জ্ঞান নিয়ে গর্ব-অহংকার করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।