যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ছিলেন, শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে ঢাবি শিবিরের বর্তমান এবং সাবেক সভাপতিদের প্রশংসা করেছেন। তিনি তার ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণ করে নতুন প্রজন্মের প্রতি তার ভালোবাসা ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর, ড. গালিব তার শিবিরের সহযাত্রীদের সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার স্মৃতি মনে করেন। তিনি বলেন, তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয়, যেখানে পড়াশোনা, রাজনীতি এবং বিতর্কের মাঝে সময় কাটিয়েছিলেন। তিনি এবং তার বন্ধুরা একসঙ্গে শিবিরের সদস্য হন এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব আজও অটুট রয়েছে।
ড. গালিব আরও বলেন, তার সময়ের শিবিরের সদস্যরা আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল। অনেকেই বর্তমানে উদীয়মান শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী, চিকিৎসাবিদ এবং আলেম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি জানান, তার কানাডায় থাকার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল এবং তিনি সময়ে সময়ে তাদের বৈঠকে অংশ নিতেন।
তিনি উল্লেখ করেন, সাধারণত আগের জেনারেশনের লোকেরা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ঘাটতি দেখতে পায়, তবে তার অভিজ্ঞতা ভিন্ন ছিল। তিনি দেখেছেন, নতুন প্রজন্মের সদস্যরা দেশ, রাজনীতি, ইসলাম এবং সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তার মতে, তাদের আলোচনা, প্রশ্ন এবং উপলব্ধি আরও বেশি গভীর ও উন্নত হয়েছে।
ড. গালিব বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শিবিরের নেতৃত্বে থাকা সাদিক-ফরহাদ, জুনায়েদ, রিফাত, শরফুদ্দীন এবং সিবগাতুল্লাহসহ অন্যান্য নেতারা এক নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। তাদের সততা, যোগ্যতা এবং ভিশন তার সময়ের চেয়ে অনেক ভালো। তিনি বিশ্বাস করেন যে এই তরুণ নেতৃবৃন্দ একদিন দেশের রাজনীতিতে সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের নেতৃত্বের মাধ্যমে তিনি দেখতে পান যে তাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিনি মনে করেন, নতুন প্রজন্ম একটি সুস্থ, ইনসাফপূর্ণ, এবং ইসলামের আলোকে গড়ে ওঠা সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণে সক্ষম হবে।
ড. গালিব তার তরুণ সহযাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানিয়ে বলেন, তাদের মধ্যে কৈশোরের আর তারুণ্যের যে ভালোবাসা ও স্বপ্ন রয়েছে, তা কখনো হারানো উচিত নয়। তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, যেন এই তরুণ নেতৃত্ব দেশের, মানুষের এবং উম্মাহর জন্য কাজ করতে সক্ষম হয়।
তার ভাষায়, সাদিক-ফরহাদ-জুনায়েদ এবং তাদের মতো অন্যান্য তরুণরা দেশের ভবিষ্যত উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি তাদের এই সংগ্রামে সফলতা কামনা করেন এবং আল্লাহর কাছে তাদের জন্য সাফল্য ও তৌফিক প্রার্থনা করেন।
ড. গালিবের এই বার্তা বর্তমান তরুণ প্রজন্মের জন্য এক শক্তিশালী উদ্বুদ্ধকরণ, যা দেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ গঠন ও উন্নতিতে সহায়ক হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।