ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারকে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:৫৯ অপরাহ্ন
ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারকে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক সদস্য সোহেলি আক্তারকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।


আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন কোডের পাঁচটি বিধি লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করায় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে তার নিষেধাজ্ঞার শাস্তি কার্যকর হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তিনি আগামী পাঁচ বছর কোনো ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।


২০২৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের এক সদস্যকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন সোহেলি আক্তার। তিনি ওই ক্রিকেটারকে বড় অঙ্কের টাকার লোভ দেখান। তবে ওই ক্রিকেটার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি দ্রুত আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানান।


দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকা সোহেলি আক্তার স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন দলে থাকা এক সদস্যকে। বিষয়টি জানাজানি হলে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) অবহিত করে। বিসিবির পক্ষ থেকে তথ্য দেওয়া হয় আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ (এসিইউ)কে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী দুই বছর ধরে তদন্ত চালায় এসিইউ, যার পরিপ্রেক্ষিতে সোহেলিকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।


আইসিসির এক বিবৃতিতে জানানো হয়, "সোহেলি আক্তার অ্যান্টি-করাপশন কোডের পাঁচটি ধারা লঙ্ঘন করেছেন, যা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেছেন।"


বাংলাদেশ দলের হয়ে সোহেলি সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০২২ সালে। ক্যারিয়ারে তিনি দুটি টি-টোয়েন্টি ও ১৩টি ওয়ানডে খেলেছেন। বোলার হিসেবে উইকেট নিয়েছেন ১১টি এবং ব্যাট হাতে করেছেন মাত্র ৬ রান।


এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সোহেলি আক্তার আগামী পাঁচ বছর ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না। ক্রিকেটবিশ্বে ফিক্সিং নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে আইসিসি। বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটারকে শাস্তি দেওয়া এটিই প্রথম বড় ঘটনা, যা ভবিষ্যতে অন্যদের জন্য সতর্কবার্তা হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।