মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একাধিক দিন ধরে শ্রীমঙ্গলে তীব্র শীত চলতে থাকলেও বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকা ও হাওর অঞ্চলের দরিদ্র জনগণ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
শ্রীমঙ্গলে শীতের তীব্রতার ফলে একদিকে খেটে খাওয়া মানুষ, বিশেষ করে চা-বাগান শ্রমিকরা কষ্টে পড়েছেন, অন্যদিকে হাওরাঞ্চলের কৃষকরা তাদের জমিতে কাজ করতে পারছেন না। ভাড়াউরা চা-বাগানের শ্রমিক সুমন গোয়ালা বলেন, “রাতের বেলা চা-বাগানে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ে, আমাদের অনেক কষ্ট হয়।” তিনি সরকারের কাছে শীতের কাপড় বিতরণের দাবি জানিয়েছেন।
শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের হাওর এলাকার কৃষক শাহেদ মিয়া বলেন, “প্রচণ্ড ঠান্ডায় চাষাবাদ করতে পারছি না, কারণ সারা দিন রোদের দেখা মিলছে না, ফলে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে।” শ্রীমঙ্গলের শীতের প্রকোপ বাড়ায় উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করছে।
বিশেষ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শ্রীমঙ্গল শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১৩ হাজার পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মহসিন মিয়া মধু।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে শ্রীমঙ্গলের নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৬০০ হতদরিদ্র পরিবারকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান জানান, শ্রীমঙ্গলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৬০০ পিস কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. আনিসুর রহমান জানান, শ্রীমঙ্গলে চলতি শীত মৌসুমে এটি ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তিনি আরও জানান, শ্রীমঙ্গলে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে, তাই শীতের আরও প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।