খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) “বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা” প্রদান করেছে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় খাগড়াছড়ি অফিসার্স মেসে, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
পুলিশ সুপার অনুষ্ঠানে বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসের অন্যতম গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হলো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। তখন পুলিশ বাহিনী বীরত্বের সাথে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। ২৫ মার্চ, ১৯৭১ তারিখে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশের সদস্যরা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন, যা ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধ। পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে এই প্রতিরোধ বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।”
তিনি আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পুলিশ সদস্যরা ৯ মাস ব্যাপী গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং ১২৬২ জন পুলিশ সদস্য শহীদ হন। আজকের এই সংবর্ধনা তাদের সাহসী অবদানের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার বহি:প্রকাশ।”
খাগড়াছড়ি জেলার পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত সাতজন বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাকে এদিন সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাদের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। পুলিশ সুপার তাদের যেকোনো আইনি সহায়তার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বদা পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাহমুদা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শেখ বিল্লাল হোসেন, এবং খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ ধরনের আয়োজন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সবার সামনে তুলে ধরে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।