রাজনীতির পথে চলতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন ও বিএনপির সঙ্গে জোটের ইতিহাস রয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তবে জামায়াতের নেতাকর্মীরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের দ্বারাই তাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এমতাবস্থায় ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু, তা নিয়ে খোলামেলা বক্তব্য রাখলেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সম্প্রতি ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “যখন দেশে কোনো ধরনের ফ্যাসিজম এসেছে, তখন আমরা প্রতিবাদ করেছি। আমাদের সঙ্গে যারা একই সুরে প্রতিবাদ করেছে, তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।” তিনি উল্লেখ করেন যে, তারা চারদলীয় জোটে যুক্ত ছিলেন, যা পরে ২০ দলীয় জোটে রূপান্তরিত হয়েছিল। তবে বর্তমানে তারা কোনো জোটে নেই।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, “আমরা জোটে গিয়েছিলাম রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে, আদর্শিক কোনো ঐক্য ছিল না।” তার এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, রাজনৈতিক স্বার্থের জন্যই তাদের জোটে আসা।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আবার কখনো রাজনৈতিকভাবে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটা বলা কঠিন। কারণ আওয়ামী লীগ নিজের দেশের মানুষকে গণহত্যার মতো অত্যাচার করতে পারে। তাদের রাজনীতি যে চিন্তাভাবনার বিষয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।”
জামায়াতের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নিয়ে ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্যে অসন্তোষ এবং অসুবিধার স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা যায়। তিনি তার দলের আদর্শ ও রাজনৈতিক কৌশল সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিয়েছেন, যা জামায়াতের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে পারে।
এভাবে জামায়াতের আমিরের বক্তব্য রাজনৈতিক জোট ও কৌশলগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ের চিহ্নিতকারী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।