মানুষের পূর্ণাঙ্গ ঈমানদার হওয়ার জন্য পূর্বশর্ত হচ্ছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর ঈমান আনা, তাঁকে পরিপূর্ণ বিশ্বাস এবং মহব্বত করা। তাঁকে না দেখে তাঁর উপর বিশ্বাস স্থাপন করার ফজিলত ও মর্যাদা অনেক বেশি। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের বর্ণনায় তা প্রমািণিত। তাহলো-
হজরত আবু আবদুর রহমান জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, একদিন আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে বসা ছিলাম। এমন সময় দু’জন আরোহীকে আসতে দেখা গেলো। রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের দেখে বললেন, এদেরকে কিন্দা ও মাযহিজ গোত্রের মনে হচ্ছে। অতপর তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে উপস্থিত হলো। তাদের সঙ্গে মাযহিজ গোত্রের কিছু লোকও ছিল।
বর্ণনাকারী জুহানি বলেন, অতপর দুই আগন্তুকের একজন বাইয়াত গ্রহণের জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছাকাছি হলো। যখন তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাত নিজের হাতে নিলেন তখন বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! যে ব্যক্তি আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলো এবং আপনার উপর ঈমান আনলো, আপনাকে সত্য বলে মানলো এবং আপনার অনুসরণ করলো, সে কি পাবে? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তার জন্য সুসংবাদ (মোবারকবাদ) এরপর লোকটি তাঁর হাতের উপর হাত বুলিয়ে বাইয়াত গ্রহণ করে চলে গেল।
অতপর দ্বিতীয় ব্যক্তি অগ্রসর হলো- সেও বাইয়াত গ্রহণের জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাত নিজের হাতে রেখে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! যে ব্যক্তি আপনাকে না দেখে ঈমান আনলো, আপনাকে সত্য বলে মানলো এবং আপনার অনুসরণ করলো, সে কি পাবে? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তার জন্য সুসংবাদ, তার জন্য সুসংবাদ, তার জন্য সুসংবাদ। এরপর এ লোকটিও তাঁর হাতের উপর হাত বুলিয়ে বাইয়াত গ্রহণ করে চলে গেল। (মুসনাদে আহমাদ)
এ হাদিস থেকে বুঝা গেল, যারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লামকে না দেখেই তার উপর ঈমান আনলো এবং তার পরিপূর্ণ অনুসরণ করলো তার ঈমান ও আমলের মর্যাদা বেশি।আল্লাহ তাআলা সবাইকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কর্মনীতির পরিপূর্ণ অনুসরণ ও অনুকরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।