ফরজ ইবাদতের জন্য অজু করা আবশ্যক। এটিও একটি ইবাদত। অজুর পর একটি সুন্নত আমল করলেই মিলবে পছন্দের দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ। আমলকারী নিজের পছন্দের দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে বলেছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুন্নত আমলটি কী?
হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে অজু করবে এরপর বলবে-
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُه وَرَسُولُه
উচ্চারণ : ‘আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’
অর্থ : ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই। তিনি একক; তাঁর কোনো শরিক নেই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসুল।’
ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে। এসব দরজার যেটি দিয়ে খুশী সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।’ (মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
‘কালেমা শাহাদাত পড়ার পর ইমাম তিরমিজি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এ দোয়াটিও বর্ণনা করেছেন-
اللّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাজ আলনি মিনাত্ তাওয়াবিনা ওয়াজআলনি মিনাল মুতাত্বাহ্হিরিন।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তাওবাহকারীদের মধ্যে শামিল কর এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের মধ্যে গণ্য কর।’ (মুসলিম, তিরমিজি)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, অজুর পর ছোট্ট ও সহজ এ দুটি আমল করা। আর এর বিনিময়ে অজুকারী ব্যক্তি যে কোনো দরজা দিয়েই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অজুর পর সুন্নাতি আমলটি যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। জান্নাতের পছন্দনীয় দরজা দিয়ে প্রবেশ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।