
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০১৯, ৪:৫০

যে ভিসায় ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা মাত্র ১ লাখ টাকায় কুয়েত যান। সেই ভিসায় বাংলাদেশিরা দেশটিতে যান ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ করে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভিসার ধরন না বুঝে দালালদের খপ্পরে পড়ে বাংলাদেশিরা এ টাকা গুণেন। আর বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলো তাদের এজেন্সির মাধ্যমে কুয়েতে যান। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়া ভিসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় কুয়েতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন বাংলাদেশিরা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিভিন্ন অনিয়ম ও অভিযোগ পাওয়ার কারণে বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। ফলে সরকারিভাবে কুয়েতে বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ রয়েছে। তবুও গত ৪ থেকে ৫ বছরে লামানার (বিশেষ অনুমতি) মাধ্যমে কুয়েতে প্রায় অর্ধলক্ষাধিকেরও বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন ভিসায় কুয়েতে গিয়েছেন।
শুধু বর্তমানে কুয়েতে সরকারিভাবে আকদ হুকুমা নামে (১৮ নম্বর ) ভিসা চালু রয়েছে। এই ভিসা কুয়েত সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এ ভিসায় কাজ হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার। বেতন কুয়েতি ৬০ দিনার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৭ হাজার)। এ ভিসায় গেলে মসজিদ, মাদরাসা ও কুয়েতের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ হয়ে থাকে। যাওয়ার দুই বছর পর যে কোম্পানির মাধ্যমে যাওয়া হয় সেই কোম্পানির লোকদের টাকা দিয়ে অন্য সাইটে যাওয়া যায়। অথবা এ ধরনের ভিসায় একই ধরনের অন্য কোম্পানিতে যাওয়া যায়। বেতন-সুযোগ সুবিধা একই।

খাদেম ভিসা (২০ নম্বর) রিলিজ দিলে এক কুয়েতির ঘর থেকে অন্য কুয়েতির ঘরে ভিসা লাগাতে হয়। অন্য কোথায়ও ভিসা পরিবর্তন করা যায় না।
মাজরা রায় শোন (১৮ নম্বর) ভিসা। এ ভিসায় খামার অথবা বাগানের নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে কাজ করা যায় না। এটি অবৈধ ভিসা। এ ভিসায় গিয়ে চেকে পড়লে যেকোনো সময় গ্রেফতার করতে পারে স্থানীয় প্রশাসন। আহলি (১৮ নম্বর) শোন ভিসা। এ ভিসায় গেলে কোম্পানির চুক্তির নির্দিষ্ট সয়ম শেষ হওয়ার পর অন্য যেকোনো কেম্পানিতে ভিসার লাগানো যায়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব